যে সেনা সদস্যরা অভিযোগ ও সমস্যার কথা যথোপযুক্ত উপায়ে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সরাসরি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে জেনারেল রাওয়াত বলেন, “কয়েকজন সহকর্মী নিজেদের সমস্যার দিকে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করছেন। এটি সৈনিকদের নৈতিকতার পাশাপাশি পুরো সেনাবাহিনীর নৈতিকতাকেই প্রভাবিত করে।”
“আপনাকে এর জন্য অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হতে পারে… এবং শাস্তিও দেয়া হতে পারে,” বলে সতর্ক করেন সেনাপ্রধান।
সৈনিকদের কোনো সমস্যা হলে তারা প্রয়োজনে সেনাপ্রধানকেও এ ব্যাপারে সরাসরি জানাতে পারেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন জেনারেল রাওয়াত।
ভরপেট খাবার জোটে না- গত সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য। ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় সেই দুরবস্থার কথা সামনে আনেন সে দেশের একজন কনস্টেবল।
তেজ বাহাদুর যাদব নামের ওই কনস্টেবল তিনটি আলাদা আলাদা ভিডিও প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের। তাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিম্নমানের খাবারের নমুনা সবার সামনে তুলে ধরেন।
৪০ বছর বয়সী তেজ বাহাদুর জানান, ‘“খাবার বলতে সকালে আধপোড়া পরোটা ও চা খেতে দেয়া হয়। আচার বা তরকারির থাকে না। দুপুরে ডাল, রুটি। ডাল না বলে তাকে লবণ মেশানো হলুদ গোলা পানি বলাই ভাল। দেশের জওয়ানরা দিনে ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। এক মূহুর্তও বসার সুযোগ হয় না। কিন্তু এই খাবার খেয়ে এত খাটুনি কি সম্ভব? এমনও হয়, কোনোদিন খাবার জোটে না। তখন খালি পেটে ঘুমোনো ছাড়া উপায় থাকে না।’”
তার মতে, “এতে সরকারের কোনও দোষ নেই। তারা তো সময়মতোই সবকিছু পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ওপরওয়ালাদের দুর্নীতির জেরে তা সেনাদের কাছে পৌঁছায় না।”
এর জবাবে আবার উল্টো ভিডিও প্রকাশ করে ভারতের সেনাবাহিনী। সেখানে বলা হয়, সেনা সদস্যরা যদি এভাবে সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের দুঃখকষ্টের কথা প্রকাশ করতে থাকে তবে সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা চরম হুমকির মুখে পড়বে। আরও বলা হয়, “সেনাবাহিনী হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা টিভির মাধ্যমে পরিচালিত হয় না।”