পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাবেক চেয়ারপারসন এবং দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসককে পারভেজ মোশাররফকে পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এক আদালতের রায়ে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ সময় এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জনকে জামিন দেয়া হয় এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০০৭ সালের ডিসেম্বরে এক নির্বাচনী সমাবেশে বেনজির ভুট্টোকে গুলি ও আত্মঘাতী বোমা হামলা করে হত্যা করা হয়। ২০১১ সালে এই হত্যা মামলায় পারভেজ মোশাররফের নাম যুক্ত করা হয়। এরপরই তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিচারকরা এই মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণের অপ্রতুলতার কথা বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
জেনারেল মোশাররফ স্বেচ্ছা নির্বাসনে এখন দুবাইতে আছেন। তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা বিষয় অস্বীকার করেছেন। তার সরকার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তান তালেবান প্রধান বায়তুল্লাহ মাসুদকে দায়ী করে। তবে মেহসুদ এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন।
পাকিস্তান তথা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাবশালী ভুট্টো পরিবারের সন্তান বেনজির ভুট্টো দুইবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জুলফিকার আলি ভুট্টোর মেয়ে বিশ্বে ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’ নামে খ্যাত। ২০১০ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে বেনজিরের হত্যাকাণ্ড ঠেকানো যেত, কিন্তু মোশাররফের সরকারের পক্ষ থেকে তাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করা হয়নি।