ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা করা না করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে দরকষাকষির মধ্যেই সাবমেরিন থেকে সফল ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করার দাবি করেছে নর্থ কোরিয়া। শত্রুদের সতর্ক করে দেওয়া এই ক্ষেপনান্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ধ্বংসের ছুরি’।
মাত্র দুদিন আগেই নর্থ কোরিয়া দরকষাকষি হিসেবে বলেছিলো, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মনোভাব ত্যাগ করলেই কেবল ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবে তারা।
দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপনাস্ত্রটি নিক্ষেপ করার কথা নিশ্চিত করেছে প্রতিবেশি সাউথ কোরিয়া। ক্ষেপনাস্ত্রটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দুরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।
নর্থ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে, সিনপো বন্দরের কাছে, জাপান সাগরে সাবমেরিন থেকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ছোড়ে পিয়ং ইয়ং।
সিউল দাবি করলেও, নর্থ কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নি। সাবমেরিন থেকে ব্যালেস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি শনাক্ত করা খুব কঠিন।
নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএন জানায়, সাবমেরিন থেকে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কখন কোথায় এবং কিভাবে সেটা করা হয়েছে তার কিছুই বলা হয়নি।
সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের নির্দেশেই পরই ক্ষেপনান্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তার আগে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেন কিম।
নর্থ কোরিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার কড়া নিন্দা করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।