বেশির ভাগ মানুষ নিজের দাঁতকে ঝকঝকে চকচকে সাদা দেখতে চান। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১৮-৫২ শতাংশ মানুষ তাদের নিজের দাঁতের রঙ নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
পশ্চিমা দেশগুলোতে দাঁত সাদাকরণ বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় অনেকদিন ধরেই। ম্যাগাজিন ও চলচ্চিত্রে তারকাদের ধবধবে সাদা দাঁত সাধারণ মানুষের সাদা দাঁতের চাহিদা যেন আরও বাড়িয়ে তোলে। সাদা দাঁত শুধু আকর্ষণীয়ই নয়, একে সুস্থতার প্রতীক বলেও ধরা হয়।
কিন্তু, সবার মনে রাখতে হবে, বয়স ও জিনগত কারণে এবং আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস, পানাহার, ধূমপান, ঔষধ গ্রহণ সহ আরও বিভিন্ন কারণে দাঁতের এনামেল আস্তে আস্তে ক্ষয়ে পড়ে যার ফলে দাঁত হলুদ হতে থাকে।
টমেটোর তৈরি সস, কফি ইত্যাদি দাঁতে সবুজ, ঘিয়া রঙের আবরণ তৈরি করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা যায়, সাধারণ চা মানুষের দাঁতের রঙের তেমন পরিবর্তন করে না। এসিড জাতীয় খাবার ছাড়া অন্যান্য খাবার দাঁতের রঙ আংশিক পরিবর্তন করলেও সেগুলো দাঁতের অসুস্থতার প্রতীক নয়। ধবধবে সাদা দাতেও ক্ষয়, ইনফেকশন হতে পারে। অথচ হলুদ দাঁতের অধিকারী একজন মানুষের দাঁত সম্পূর্ণ সুস্থ থাকতে পারে।
আরেকদল গবেষকের মতে, দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জমা কিছু কালো দাগ দাঁতকে অনেক সময় ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে! শত বছর ধরে দাঁতের কালো দাগ কেন হয় সেটি নিয়ে গবেষণা হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণাদল বলছে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও আয়রন এবং তামার মিলিত উপস্থিতিতে দাঁতে কালো আবরণ পড়ে।
এমনকি তাঁরা এও বলছেন, যেসব শিশুর দাঁতে কালো দাগ বেশি থাকে তাঁদের দাঁতে ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
যদিও, কিছু ক্ষেত্রে দাঁতের রঙ মলিন হয়ে যাওয়া দাঁত ক্ষয়ের লক্ষণ, তবুও নিজ থেকে গবেষণা করে দুশ্চিন্তা না করে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়। আবার ঝকঝকে সাদা দাঁত বলে কয়েক বছরেও দন্ত চিকিৎসকের কাছে না যাওয়াটাও বুদ্ধিমানের কাজ নয় বলেই দাবি করছেন সাম্প্রতিক দন্ত গবেষকরা। -বিবিসি