করোভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় ৭ মাস পেরিয়ে ৮ মাসে পড়েছে। কিন্তু কোনো কিছু দিয়েই অপ্রতিরোধ্য ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে এরই মধ্যে ১ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার ৮০২ জন মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব বলছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এরই মধ্যে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৮ জন। ব্রাজিলে ২৭ লাখ ৮ হাজার ৮৭৬ জন। তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত দেশ ভারত। সেখানে শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৯১৯ জন।
রোববার ভোর পযর্ন্ত বিশ্বে মোট ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৩ জন মানুষ মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যায়ও যথারীতি যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ অবস্থানে। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৮ মানুষ।
ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে ৯৩ হাজার ৬১৬ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৬ হাজার ১৯৩ জন, মেক্সিকোতে ৪৬ হাজার ৬৮৮ জন এবং ভারতে ৩৭ হাজার ৪০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতার হার সর্বাধিক। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিশ্বের ১ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার ২৩২ জন মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৩৯১ জনের।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৮ হাজার ৪২৯ জন, ব্রাজিলে ৪২ হাজার ৫৭৮ জন এবং ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৮৬৫ মানুষ।
করোনাভাইরাসের এমন সংক্রমণের মধ্যে বিশ্বের মানুষ যখন ভ্যাকসিনের আশায় আছে, তারই মধ্যে তা নিয়ে সংতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফৌসি।
এ বছরের শেষ নাগাদ করোনাভাইরাসের একটি ‘নিরাপদ ও কার্যকরী’ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার বিষয়ে সন্দিহান তিনি।
ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের এক শুনানিতে এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ মানুষের হাতে ভ্যাকসিন পৌঁছাবে কিনা তা নিয়ে তিনি ‘সতর্ক আশাবাদী’। তবে তার আশা, ভ্যাকসিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না।