ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া ৪৭ বাংলাদেশীর মধ্যে ১৫ নারী ও শিশুকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। মুচলেকা দিয়ে এসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার করা গেলেও পুরুষদের আটকে রেখেছে লিবিয়া। লিবিয়ার রাজনৈতিক সমস্যার কারণে কূটনৈতিক সম্পর্কও কাজ করছে না বলে চ্যানেল আইকে জানিয়েছেন লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ৬শ’ অভিবাসী নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া দু’টি নৌকায় ছিলো অন্তত ৫৪ জন বাংলাদেশী। যাদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। বাকি ৪৭ জনের মধ্যে নারী ও শিশুসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে তারা। তবে পুরুষদেরকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে আটকে রেখেছে লিবিয়া।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, লিবিয়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না থাকায় বাংলাদেশীদের মৃতদেহ তাদের দেখানো হচ্ছে না। অনুমতি ছাড়াই সবার মৃতদেহ দাফন করে ফেলা হচ্ছে। কোনো ধরনের কূটনৈতিক আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না দেশটি।
উদ্ধারকৃত নারী ও শিশুদের দূতাবাসের হেফাজতে রাখার পাশাপাশি পুরুষদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানান আশরাফ।
লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও একাধিক সরকার থাকায় মৃতদের ফিরিয়ে আনা এখনই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।