ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। সৈকতের বালুতট
পরিণত হয়েছে লাখো পর্যটকের মিলন মেলায়। সাগরজলে উচ্ছ্বাসে মেতেছে পর্যটকরা।
জমে উঠেছে সব পর্যটন স্পট। সব হোটেলের কক্ষ আগে থেকেই বুকিং দেওয়ায় অনেক
পর্যটক হোটেল পায়নি। তাই সৈকতে আড্ডা দিয়ে তাদের মধ্যে অনেকেই রাত কাটাবেন। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
টানা ছুটিতে প্রকৃতির লীলা নিকেতন কক্সবাজারে এসেছে লক্ষাধিক পর্যটক। আর বৃহস্পতিবার বিকালে সৈকতে গিয়ে দেখা যায় নীল সাগরের সুনীল জলরাশিতে অবিরত ঢেউ-এর মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতেছে নানা বয়সি পর্যটকরা।
যান্ত্রিক জীবন এড়িয়ে একটু প্রাণের স্পন্দন নিতেই এখানে পরিবার নিয়ে ছুটে আসার কথা জানান ঢাকার ধনিয়া এলাকার ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ। বলেন, পরিবার নিয়ে নিজেদের মতো করেই সময় পার করছেন।
আমেরিকা প্রবাসী দম্পতি শাহেদ ও আফরিন জানান, অনেক ভাল লাগেছে নিজের দেশের সৈকতে এসে। তবে তারা বলেন, এখানে পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়ন করা প্রয়োজন।
মেহেরপুর থেকে আসা শাহরিয়ার বলেন, এ প্রথম এসেছি কক্সবাজারে অনেক আনন্দ করছি।
কলাতলিতে হোটেলে রুম না পেয়ে ঘুরাফেরা করছিলেন শাহীন, বাবুল, আমিনসহ তাদের ২০ বন্ধু। তারা বলেন, রুম না পেলে সারা রাত সৈকতে গানে আর আড্ডায় কাটিয়ে দেব।
খুলনার ফুলতলা থেকে আসা আরিফিন সহ অনেকে অভিযোগ করেছেন, কিছু হোটেল বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
হোটেল মোটেল ওর্নাস এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের কক্সবাজারে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেলে কোন কক্ষ খালি নেই। আমরা পর্যটকদের সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছি।
লাইফ গার্ড কর্মী সৈয়দ নুর বলেন, আজ ৩০ জনকে উদ্ধার করেছি। সাগরের লোনা জল পেলেই সবাই সব কিছু ভুলে যায়।
হিমছড়ি, ইনানিসহ সব পর্যটন স্পটে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, সৈকত এলাকা থেকে সব ধরনের হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রাতে যাতে পর্যটকরা নিরাপদে সৈকত দর্শন করতে পারে সে জন্য পুরো সৈকত এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটদের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।