প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর সমুদ্রপথে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূল থেকে আবার মানবপাচার শুরু করেছে একটি চক্র। মঙ্গলবার কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টাকালে নারী ও শিশুসহ মিয়ানমারের ১৯ জন নাগরিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় দুই দালালকেও আটক করা হয়।
টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
আটক হওয়া দুই দালালের একজন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মোহাম্মদ তৈয়ূবের স্ত্রী বুলবুলি (৩৫) এবং আরেকজন একই এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ খলিল ওরফে ইসমাইল (৩৬)।
এ ঘটনায় পলাতক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে আবুল হোসেন (৪২) ও একই এলাকার শামশুল আলমের স্ত্রী ফাতেমা বেগমসহ (২৬) মোট চারজনকে আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
তিনি বলেন, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে তারা সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দ্যেশে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের জড়ো করেছিল। এজন্য দালালরা তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় ট্রলারে করে তাদের পাচার করা হতো।
উদ্ধার হওয়া নাগরিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি মাঈন উদ্দিন বলেন, হঠাৎ করে কি কারণে কারা এ পাচার শুরু করলো সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।