নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি । দিন শুরুতেই সাক্ষ্য দেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা সার্কিট হাউজে এই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যের জন্য শ্যামল কান্তি ভক্ত ছাড়াও বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে ডাকা হয়।
সোমবারের মতো মঙ্গলবারও সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে সাংসদ সেলিম ওসমানের অনুসারীরা।
আগের দিন সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় পর্যন্ত বন্দর উপজেলার কল্যান্দী এলাকায় অবস্থিত পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগকারী স্কুলছাত্র রিফাত হাসানসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
গত ১৩ মে বন্দর উপজেলার কল্যানদী এলাকায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার কটূক্তির অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে উঠ বস করানো হয়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রণালয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে। পরে হাইকোর্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) হাফিজুর রহমানকে তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর হাইকোর্টে আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।