আরিয়ান খানের মাদক মামলায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভিকে পুনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুনে পুলিশের তরফ থেকে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে এই মামলা নতুন মোড় নিয়েছে।
আরিয়ান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তার সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন গোসাভি। সেই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকেই ওই ব্যক্তিকে এনসিবি কর্মকর্তা ভেবে ভুল করলেও পরে জানা গিয়েছিল, ওই ব্যক্তি আসলে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কর্ণধার।
এই সেলফি ভাইরাল হওয়ার পরে অবশ্য খোঁজ মিলছিল না গোসাভির। শেষমেশ পুলিশ পুনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, গোসাভির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের একটি প্রতারণার মামলা ছিল। তার জের ধরেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
সম্প্রতি গোসাভি ও সমীর ওয়াংখেড়ে বিরুদ্ধে আরিয়ান খানের মামলায় ১৮ কোটি রূপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গোসাভির বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন মাদক মামলার প্রধান সাক্ষীদের একজন প্রভাকর সাইল। তিনি নিজেকে গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেন।
তার দাবি, দশ পাতার সাদা কাগজে তাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে এনসিবি। এখানেই শেষ নয় টাকার লেনদেনের কথাও তিনি শুনেছেন বলে এক হলফনামায় দাবি করেন প্রভাকর।
সাক্ষী প্রভাকর জানিয়েছেন, এই ঘুষ নেওয়ার কথোপকথন তদন্তকারী অফিসার এবং এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের মধ্যে হয়েছিল। আর এই গোটা ঘটনায় তিনি গোসাভির যুক্ত থাকার কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি জানান, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির সঙ্গে গোসাভিকে কথা বলতে দেখেছিলেন তিনি।
এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে এনসিবি। তবে এই অভিযোগ ওঠার পরে এনসিবি কর্মকর্তা স্রমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারই জের ধরে গোসাভিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।