টস জিতে ব্যাটিং না নেওয়ার হাহাকার সঙ্গী হয়েছে টেস্ট সিরিজজুড়ে। ওয়ানডে সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিংই নিলেন মাশরাফী। কিন্তু রানের হাহাকারটা মিটল না। ব্যাটসম্যানরা বড় সংগ্রহ এনে দিতে ব্যর্থ হলেন। সাকিব-সাব্বিরের ফিফটিতে লড়াইয়ের জন্য অবশ্য ২৫৫ রানের পুঁজি জমাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি, গুটিয়ে গেছে ১১ বল হাতে রেখেই।
ব্লুমফন্টেইনে সাউথ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে শুরুটা বাজেভাবেই করেছেন সৌম্য-লিটনরা। দলীয় সংগ্রহ ৬৩তে পৌঁছাতেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান সাজঘরে। ইমরুলের সঙ্গে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ৩ রানের অবদান রেখে ফেরেন রানখরায় থাকা সৌম্য সরকার। পরের বলেই ২৭ রান করা ইমরুল কায়েসও একই পথে। ৬ চারে ৩১ বলের ইনিংস তার।
তিনে প্রমোশন পাওয়া লিটন দাসও বেশিক্ষণ থাকলেন না। এক চারে ১৩ বলে ৮। আশা জাগিয়ে ৩ চারে ২২ রানে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমও।
এরপরই আসে প্রথম প্রতিরোধ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিয়েই স্কোয়াডে যোগ দেওয়া সাকিব আল হাসানের কল্যাণে। জুটি ৫৭ রানের। ২১ রান করা রিয়াদের বিদায়ে ভাঙে আশার প্রতিরোধ।
সাকিব আরও খানিক সময় থাকলেন। টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ সাব্বির রহমানকে নিয়ে অনেকটা পথও এগোলেন। দুজনের জমে ওঠা জুটি ৭৬ রানের। ফিফটি তুলে নিয়ে সাকিব থামেন ৬৮ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ অবদান তার ৯ চারে ৬৭ বলে সাজানো।
সাব্বির পরে ফিফটি ছুঁয়েছেন স্বভাবসুলভ ঢঙে ব্যাটিং করেই। ৫২ রানের ইনিংসটি ২ চার ও ৩ ছয়ে ৫৪ বলে সাজানো।
শেষদিকে নাসির হোসেন ১২, অধিনায়ক মাশরাফীর একটি করে চার-ছয়ে ১৩ বলে ১৭ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনের অপরাজিত ১৩ রানে আড়াইশ পেরিয়ে যায় সফরকারীরা।