বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছিল জিম্বাবুয়ে টপঅর্ডার। হারারে টেস্টে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে কেবল ব্রেন্ডন টেলরের উইকেট তোলা সম্ভব হয়েছিল। পরের সেশনে অবশ্য উল্টো চিত্র। সাকিব-তাসকিনে টাইগাররা স্বস্তি ফিরিয়েছে আরও তিন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে ১ উইকেটে ১১৪ রানে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। ২ উইকেটে ২০৯ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়। স্বাগতিকরা চা পানের বিরতিতে গেছে ৫ উইকেটে ২৪৪ রানে। এখনও ২২৪ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারীদের থেকে।
লাঞ্চ বিরতির পর ফিরে ডিয়ন মেয়ার্সকে (২৭) মিরাজের ক্যাচ বানিয়েছেন সাকিব। খানিক পর এলবিডব্লিউ করে রানের খাতাই খুলতে দেননি টিমিক্যান মারুমাকে। সেটি টাইগার অলরাউন্ডারের এই ইনিংসে তৃতীয় শিকার।
ছয় বল পর উল্লাসে যোগ দেন তাসকিনও, শূন্য রানে সাজঘরে পাঠান রয় কাইয়াকে, উইকেটের পেছনে লিটনের গ্লাভসবন্দি করে।
তার আগে দীর্ঘ সময় হতাশার গল্প। বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই চওড়া করে তোলা ব্যাটে আরেকবার ঝলকানি দেখান টেলর। সঙ্গী পান এখনও উইকেট আঁকড়ে রাখা টাকুদজয়নাশে কাইটানোকে।
দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছিল বাংলাদেশ। মিল্টন সুম্বাকে (৪১) এলবিডব্লিউ করে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব। ৬১ রানের মাথায় স্বাগতিকরা হারায় প্রথম উইকেট।
অভিষিক্ত আরেক ওপেনার টাকুদজয়নাশে কাইটানো ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে পরে বিচ্ছিন্নই করা যাচ্ছিল না। দুজনে ১১৫ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। কাইটানো ৩৩ রানে দিন শুরু করে ৮১ রানে অপরাজিত রয়ে গেছেন।
ব্রেন্ডন টেলর সকালে ৩৭ রানে ক্রিজে এসে ৮১ করে ফিরে গেছেন। অনেকটা ওয়ানডে ঢংয়ে পুরো ইনিংসটা খেলেছেন স্বাগতিক দলপতি। আউটও হয়েছেন শট খেলতে যেয়েই। মিরাজের বলে বদলি ফিল্ডার ইয়াসিরকে ক্যাচ দিয়েছেন। ১২ চার ও এক ছয়ে ৯২ বলে ৮১ রান করে গেছেন ফেরার আগে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত ১৫০, তাসকিন আহমেদ ৭৫, লিটন দাস ৯৫ ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানে সাড়ে চারশো পেরিয়ে যায় টাইগাররা।