বাংলাদেশের সঙ্গে হারের পর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এসে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের মুখ থেকে প্রথম যে শব্দটা বের হয় তা হল ‘হতাশ’। ম্যাচ শুরুর আগে যে স্মিথ দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রেখেছিলেন সম্মেলন কক্ষ, সেই স্মিথের চোখে-মুখে অমাবর্ষা। হতাশা চেপে রেখে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর হল ৮ মিনিট ধরে। তার চোখে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট প্রথম দিন সাকিব-তামিমের গড়া ১৫৫ রানের জুটিই।
‘১০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সাকিব-তামিম জুটি বাংলাদেশকে ভাল পুঁজি এনে দিয়েছিল। বৈচিত্র্যপূর্ণ বাউন্স, টার্নের এমন উইকেটে তাদের ওই জুটিটায় ভাল স্কোর করে ফেলে। ওই জুটির কারণেই প্রথম ইনিংসে আমরা পিছিয়ে পড়ি। সবাই বুঝবে, এমন উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে সেটা পুষিয়ে নেওয়া কতটা কঠিন।’
প্রথম টেস্টের চারদিনই হয়েছে কঠিন লড়াই। প্রথম দিন ও চতুর্থ দিনের প্রথম ঘন্টা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পিছিয়ে ছিল বেশিরভাগ সময়। তামিম-সাকিবের জুটি ধরেই প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ার পর অজিদের অলআউট করে দেয় ২১৭ রানে। ৪৩ রানের লিডের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান করলে অজিদের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৫। কঠিন লক্ষ্য টপকাতে নেমে ২৪৪ রানে অলআউট হয় তারা।
প্রথমবার বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট খেলে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে স্মিথের সেটি থেকেই বুঝেছেন এ বাংলাদেশ কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ। বলেন, ‘বাংলাদেশ গত দুই-আড়াই বছর ধরেই খুব ভাল খেলেছে। দেশের মাটিতে তারা খুব আত্মবিশ্বাসী একটা দল তাদের সিনিয়র প্লেয়াররা এই ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
বাংলাদেশে এসে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে বাংলাদেশের বোলারদের মোকাবেলা করা আরেকটু সহজ হত কিনা? এমন প্রশ্নও গেছে স্মিথের কাছে। স্মিথ অবশ্য অজুহাত হিসেবে কিছু দাঁড় করাননি, ‘কোনো অজুহাত দেব না। আমরা মিরপুরের নেটে ভাল অনুশীলনের সুযোগ পেযেছিলাম। সেটা আমরা করেছিও।’
আরও আগেই অলাউট হতে পারত অজিরা। প্যাট কামিন্স ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে হারের ব্যবধান কমান। শেষে লড়াই করে ম্যাচটা জমিয়ে তুলতে পারাই স্মিথের কাছে এখন সাত্ত্বনা। সিরিজে সমতা আনতে চট্টগ্রাম টেস্টের দিকে চোখ তার।