শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। অসাধ্য কাজটা এক বল হাতে রেখেই সাধন করে ফেললেন আরিফুল হক। মেহেদী হাসান মিরাজকে চার ছক্কা মেরে দলকে উপহার দিয়েছেন দুর্দান্ত জয়।
প্রথম দুই বলে ছয়ের পর মাঝের এক বল ডট। পরের দুই বলে আবার ছয়। তাতেই ভেঙেচুড়ে শেষ তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশালের জয়ের স্বপ্ন।
প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ব্যাটে-বলে আহামরি কিছু করতে না পারলেও ৪ উইকেটে জিতেছে তাদের জেমকন খুলনা।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ১৩ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব ছিলেন অনুজ্জ্বল। টাইগার অলরাউন্ডার ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ব্যাট হাতে ১৩ বলে করেন ১৫ রান।
বরিশাল-১৫২/৯ (২০ ওভার), খুলনা-১৫৫/৬ (১৯.৫ ওভার)
পুরো খেলায় আধিপত্য দেখালেও শেষ ওভারে ম্যাচ হাতছাড়া হয় বরিশালের। ৩৪ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন আরিফুল। চার ছক্কার পাশাপাশি তার ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার।
বরিশালের দেয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ধুঁকেছে। তবে শেষ ওভারে নাটকীয়ভাবে দলকে জেতান আরিফুল। ২০১৬ সালে বিপিএল আসরে খুলনা টাইটানসকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জিতিয়েছিলেন তিনি। অনেকদিন পর তাকে দেখা গেল ফিনিশারের ভূমিকায়।
জহুরুল ইসলাম ৩১ ও শামিম পাটোয়ারি করেন ২৬ রান। তাসকিন আহমেদ ও সুমন খান নেন দুটি করে উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন একটি করে উইকেট। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দেয়া মিরাজ শেষ ওভারে ৫ বলে হজম করেন চার ছক্কা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশাল প্রথম বলেই উইকেট হারায়। শফিউল ইসলামের বলে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল উইকেটে থিতু হয়ে বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
দুই ওপেনার ব্যর্থ হলে যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন তিনে নেমে লড়াই করেন দুর্দান্ত। এ বাঁহাতির ফিফটিতে দেড়শ পেরোয় বরিশাল।
ইমন ৪২ বল খেলে করেন ৫১ রান। ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও চারটি ছয়ের মার। তৌহিদ হৃদয়ের ২৫ বলে ২৭ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১০ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস দলকে এনে দেয় লড়াইয়ের পুঁজি।
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শহিদুল ইসলাম। ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন চার উইকেট। শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে উইকেট। ৪০৬ দিন পর মাঠে ফেরা সাকিবের শিকার এক উইকেট।