চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাকিবের আঙুলে অস্ত্রোপচার নাও লাগতে পারে

সাকিবের চোট, নতুনদের সুযোগ ও বিপিএল নিয়ে বলেছেন বিসিবি সভাপতি

এশিয়া কাপ ফাইনালে টাইগারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ফাইনালে দুর্ভাগ্যজনক হার ছাপিয়ে আলোচনার শীর্ষে টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আঙুলের ইনজুরি। অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসাধীন সাকিবের চোটের ধরন নিয়ে আছে নানা আলোচনা ও বিভ্রান্তি। সেটি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাকিবের আঙুলের এই অবস্থা কীভাবে হল সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিসিবি সভাপতিরও। বলেছেন, ‘সে যদি খেলতে গিয়ে ব্যথা পেত, তাহলে সেটা বুঝতাম। কিন্তু সে তো খেলতে গিয়ে ব্যথা পায় নাই। এই এশিয়া কাপের সময় হঠাৎ ফুলে, ইনফেকশন হয়ে এতকিছু হল কীভাবে? এটা আমাদের কাছেও একটা প্রশ্ন। সুতরাং এটা জানার চেষ্টা করছি।’

অলরাউন্ডার সাকিবের চিকিৎসার সর্বশেষ খোঁজখবর শুরু থেকেই ঠিকঠাক ভাবে নেয়া হচ্ছে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘ওকে আমি জিজ্ঞেস করার পর যেটা আমাকে জানাল- ‘ডাক্তার তিনমাস বিশ্রাম নিতে বলেছে, তারপর ২-৩ মাস পর খেলতে পারব।’ অপারেশানের কথাও জিজ্ঞেস করলাম। বলল এ ব্যাপারে ডাক্তাররা বলেছেন, ‘ওটা হয়তো প্রয়োজন হবে না।’’

চোটে থাকা সাকিব ও তামিমকে ছাড়াই জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজের দল নির্বাচন নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। ২০১৯’র বিশ্বকাপের জন্য সম্ভাব্য সের স্কোয়াড বেছে নিতে এ দুই সিরিজে তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার চিন্তাও রয়েছে বিসিবির।

দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার প্রধান সেটি নিয়ে জানালেন, ‘সাকিব ও তামিমের অনুপস্থিতিতে ভালো দল গঠনের জন্য জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দেয়া হবে।’

‘তামিম-সাকিব নেই, কাজেই দুজন তো ঢুকবেই। আমাদের কাছে মনে হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যদি কিছু থাকে, তাহলে এই সময়েই করা ভালো। কারণ জিম্বাবুয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এখানে ট্রফি ইস্যু নাই। বেশকিছু নতুন খেলোয়াড়কে দলে আনা হয়েছে। এখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবেই, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’ যোগ করেন নাজমুল হাসান।

আগামী জানুয়ারিতেই বিপিএলের পরবর্তী আসর আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবি সভাপতি। দেশের সাধারণ নির্বাচন বিপিএল আয়োজনে বাঁধা হবে না বলে মনে করছেন তিনি।

নাজমুল হাসান কথা বলেছেন বিসিবির পূর্বাচল প্রকল্প নিয়েও। সেখানে বিসিবি’র নিজস্ব অর্থায়নে ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য এ মাসেই সরকারের কাছ থেকে জমি পাওয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন। সঙ্গে যোগ করেন, চলতি বছরেই শুরু হয়ে যাবে স্বপ্নের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ।