চার পেসার। দুই স্পিনার। আক্রমণ স্পিন দিয়ে। তাও টানা দুই ওভার। এমন আগ্রাসী ফর্মুলায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সাউথ আফ্রিকার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে আমন্ত্রণ জানান। দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য আসলেও ভিলিয়ার্স-ডি কক ঝড়ে ১৯৫ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।
নিজে প্রথম ওভার করার পর দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে আনেন সাকিব। শেষ বলটি অফস্টাম্পের উপর গুড লেন্থের ছিল। বেশ খানিকটা রুম করে খেলতে যান আমলা। বল টার্ন না করে সোজা যায়। যাওয়ার সময় অফস্টাম্পও নিয়ে যায়!
আমলা ফিরে গেলে ভিলিয়ার্স-ডি কক চালিয়ে খেলতে থাকেন। ৪৮ বলের জুটিতে দুজনে ৭৯ রান যোগ করেন। ভিলিয়ার্স ফেরেন ওই মিরাজকে বড় শট খেলতে যেয়ে। রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তার আগে ২৭ বলে ৪৯ করে যান। চার পেসার খেলানোর দিনে পরের উইকেটটিও স্পিনার সাকিব নেন। ১০ বলে ১৩ রান করা অধিনায়ক ডুমিনিকে ফেরান তিনি। প্রথম দফায় ইমরুলের হাত থেকে ক্যাচটি বেরিয়ে যায়। পরে ডাইভ দিয়ে ধরতে সক্ষম হন।
দুই ওভার বাদে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। এই সফরে বাংলাদেশের পেসাররা শুরুর চেয়ে ডেথ-ওভারে তুলনামূলক একটু ভালো করছেন। এদিনও সেই চিত্র দেখা গেছে। ১৫তম ওভারে ডি কককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রুবেল হোসেন। তার আগে ৪৪ বলে ৫৯ করেন তিনি। অবাক করার বিষয় হলো বাংলাদেশ পেসারদের উপর ভরসা করে দল সাজালেও এক মাত্র রুবেলকে দিয়ে চার ওভারের কোটা শেষ করেন সাকিব। শফিউল, তাসকিন, সাউফউদ্দিন দুই ওভার করে হাত ঘোরান!
এর আগে ২০০৯ সালে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে দেশের অধিনায়কত্ব করেন সাকিব। সে বছর ২ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টি-টুয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছিলেন। টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেলেও টি-টুয়েন্টিতে নেতা হিসেবে এখনো জয়ের মুখ দেখেননি। পরিস্থিতি বলছে এদিনও কাজটা কঠিন হয়ে গেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সাউথ আফ্রিকা: ১৯৫/৪, ২০ ওভার (ডি কক ৫৯, ভিলিয়ার্স ৪৯, মিলার , বেহারদিয়েন ৩৬*, মিলার ২৫* ; মিরাজ ২/৩১, সাকিব ১/২৮, রুবেল ১/৩৪, তাসকিন ০/২১, শফিউল ০/৩৩, রিয়াদ ০/৩৩, সাইফউদ্দিন ০/২০)