আইপিএলে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে সাকিববিহীন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দিল্লীর ফিরোজ শাহ কোটলায় আইপিএলের প্লে অফের এলিমিনেটর ম্যাচে শুরুতেই টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা।
গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে একাদশের বাইরে রেখেই মাঠে নেমেছে কেকেআর।
আজকের ম্যাচে হারলেই বিদায়, আর জিতলে শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সের মুখোমুখি হতে হবে জয়ী দলকে।
ইনজুরির খোঁড়ায় আজও আশীস নেহরাকে পাচ্ছে না হায়দরাবাদ। তবে রয়েছেন দলটির সবচেয়ে বড় অস্ত্র কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
সানরাইজার্স অধিনায়কের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। এ টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের দিকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওয়ার্নার। লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচে ওয়ার্নারের মোট রান ৬৫৮। হাফ সেঞ্চুরি সাতটি, সর্বোচ্চ রান ৯২। ব্যাটিং গড় ৫৪.৮৩। পুরো টুর্নামেন্টে ১৫০.৯১ স্ট্রাইক রেট, হাঁকিয়েছেন ৬৬ টি বাউন্ডারি ও ২৫টি ওভার বাউন্ডারি। দুটি ম্যাচে সেরাও হয়েছেন।
কেকেআরের ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক গাম্ভীরের সঙ্গে উথাপ্পার দারুণ রসায়নে টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি অসাধারণ ওপেনিং জুটি উপহার দিয়েছে। তবে ফর্মে থাকা ইউসুফ পাঠান আজও তুরুপের তাস।
নাইটদের ম্যাচ উইনার ইউসুফ পাঠান লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচে করেছেন ৩৫৯ রান । হাফ সেঞ্চুরি তিনটি, সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৬৩। ব্যাটিং গড় ৮৯.৭৫। পুরো টুর্নামেন্টে ১৪৮.৩৪ স্ট্রাইক রেট, হাঁকিয়েছেন ৩৩ টি বাউন্ডারি ও ১৩ টি ওভার বাউন্ডারি। দুটি ম্যাচে সেরাও হয়েছেন।
ফিরোজ শাহ কোটলায় যে ধরণের পিচ তাতে আগে ব্যাট করে ১৬৫ থেকে ১৭৫ রান চ্যালেঞ্জিং স্কোর। তবে দু’দলই মানছে বাঁচা মরার ম্যাচে পিচ কিংবা চ্যালেঞ্জিং স্কোর বলে কিছু নেই। তারপরেও জয়ের হাসি তো একটা দলেরই হাসতে হবে, হয় মুস্তাফিজদের হায়দরাবাদ নয়তো কলকাতা।