নিজেদের ১৩তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৪ রানে হারিয়ে প্লেঅফ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া সাকিব এদিন উইকেটহীন।
কোহলিরা এখন পঞ্চম স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১২। শেষ ম্যাচটি জিতলে রানরেটে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে তাদের। আগেই প্লেঅফ নিশ্চিত হওয়া সাকিবরা এখনো শীর্ষে। তবে এই ম্যাচ হারায় নাম্বার ওয়ান দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়া ঝুঁকির মুখে পড়ে গেল তাদের।
হায়দরাবাদ এদিন টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৬ উইকেটে ২১৮ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানে থামে হায়দরাবাদ।
শেষ দুই ওভারে দলটির দরকার ছিল ৩৫ রান। ১৯তম ওভারে সাউদি দিয়ে যান ১৫। শেষ ওভারে কোহলি বলে আনেন মোহাম্মদ সিরাজকে। উইলিয়ামসন ক্রিজে ছিলেন বলে চিন্তা ছিল তার। বাইরে থেকে বোলিং কোচ আশিস নেহেরা বারবার পরামর্শ দিতে থাকেন। উঠে আসেন ড্যানিয়েল ভেট্টরিও।
সিরাজের প্রথম বল মোকাবিলা করেন উইলিয়ামসন। অফস্টাম্পে সরে ফাইনলেগ দিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে ডিপে গ্র্যান্ডহোমের হাতে ধরা পড়ে যান। ৪২ বলে ৮১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে বিদায় নিতে হয় অধিনায়ককে। পরের পাঁচ বলে মনিষ পাণ্ডে এবং দীপক হুদা ২০ রানের পথ পাড়ি দিতে ব্যর্থ হন। পাণ্ডে ৩৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে যান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু ৩৮ রান তুলতে দুই উইকেট হারিয়ে বসে। কোহলি বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। সঙ্গে পার্থিব প্যাটেল ১ রানে। মঈন আলী এবং ভিলিয়ার্স হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেটে দুজন ১০৭ রান যোগ করেন। ভিলিয়ার্স ফেরেন ৩৯ বলে ৬৯ রান করে। ১২টি চার একটি ছয় মারেন তিনি। মঈন ৩৪ বলে ৬৫ করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি চার মারেন দুটি, ছয় হাঁকান ছয়টি।
এরপর ঝড় তোলেন গ্র্যান্ডহোম। ১৭ বলে ৪০ করে ফেরেন। চারটি ছয়, একটি চারে এই রান করেন তিনি। সাকিব চার ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেট পাননি। রশিদ খান ২৭ রান দিয়ে তিনজনকে ফেরান।
জবাব দিতে নেমে হায়দরাবাদ ভালো শুরু পায়। ৫ ওভারে ৪৭ রান তুলে ফেলে দলটি। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ব্রেক-থ্রু আনেন চাহাল। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে ধাওয়ানকে (১৮) ফেরান। এরপর দলীয় ৬৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অ্যালেক্স হেলস। ২৪ বলে ৩৭ করে যান তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর হায়দরাবাদ ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসন এবং মনিষ পাণ্ডের জুটিতে। উইলিয়ামসন ২৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন। পাণ্ডেকে নিয়ে ১৩৫ রানের জুটি গড়েও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।