মানবতাবিরোধী অপরাধে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ দুই খুনির আলাদা অালাদা মৃত্যু পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মৃত্যু পরোয়ানায় সই হওয়ার পর তা লাল কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয় মৃত্যু পরোয়ানার অনুলিপি।
এরপর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
গত ১৬ জুন বুদ্ধিজীবীদের ঘাতক জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন।
এরপর ২৯ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল বাতিল করে ফাঁসির রায় বহাল রাখেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই বুদ্ধিজীবী হত্যায় সহযোগিতা ওপরিকল্পনা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেনকে অপহরণ ও হত্যা এবং ফরিদপুরের বকচর গ্রামে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা ও নির্যাতনের মতো অপরাধে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
২০১০ সালের ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে মুজাহিদকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই বছরের ২৯ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে। এ আলবদর নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু হয় ২০১২ সালে ২১ জুন।
গত ২৯ জুন ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল বাতিল করে ফাঁসির রায় বহাল রাখেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বেআপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চারটি অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার হলেও একই বছরের ৩০ ডিসেম্বরতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লার আপিলের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
তাদের মধ্যে কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আর আজীবন কারাদণ্ডাদেশ ভোগ করছেন সাঈদী।