একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগ বহাল রাখায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, পাবনা, মানিকগঞ্জসহ সারাদেশে সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল করেছে। চট্টগ্রামে মামলার সাক্ষী এবং মুক্তিযোদ্ধারা তাদের নির্যাতন ও হত্যার কাজে ব্যবহার করা বাড়ি ‘গুডস্ হিল’কে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসাবে রূপান্তর ও দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব চত্বরে ও চেরাগী পাহাড় চত্বরে সাকা চৌধুরীর রায় ঘোষাণাকে কেন্দ্র করে সমাবেশ করে জেলা এবং মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। একই সাথে আনন্দ সমাবেশ করেছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও গণজাগরণ মঞ্চ। রাউজান উপজেলার চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল বলেন, আজ ৪৪ বছর পর রাউজানের মানুষ শান্তিতে ঘুমাবে। আমার ফুফা শেখ মোজাফ্ফর আহমেদকে আমাদের বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন বলেন, বিচারের রায়ে আমরা খুশি আমরা চাই এ রায় দ্রুত কার্যকর হোক।
ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর এবং নিজেদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি করেছেন মামলার সাক্ষীরা।
ময়মনসিংহ
রায়ে ময়মনসিংহে জেলা জাসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও আইনজীবীরা পৃথক পৃথক ভাবে মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশে প্রবীণ অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব, জিয়াউল ইসলাম, সিপিবি সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত বক্তব্য দেন।
পাবনা
রায়ে পাবনায় আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন। দুপুর ১২টার দিকে মিছিলটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃ শহীদুল্লাহ, সরদার মিঠু আহমেদ, শরিফ উদ্দিন প্রধান, অ্যাডভোকেট আজিজুল হক, আবুল কাশেমসহ অনেকে।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছে ঘাতক দালাল নিমূল কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। দুপুরে কোর্ট চত্ত্বর থেকে একটি আনন্দ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াৎ হোসাইন খান, জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম ।