২০১০ সালে একাদশ এসএ গেমস ব্যাডমিন্টনের তিনটি ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ। আসন্ন এই গেমসে এবার রৌপ্যর দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের শাটলাররা। ঘরের মাঠে আয়োজিত ১১ জাতির আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সেই স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
ঢাকায় শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলাদেশ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট। ভিসা জটিলটায় পাকিস্তান আসতে না পারায় ১১টি দেশের ১২৩ জন নারী ও পুরুষ শাটলার নিয়ে ৫টি ইভেন্টে চলছে এই টুর্নামেন্ট। এবারের আসরকে সাউথ এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন।
ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান রানা বলেন, এই টুর্নামন্টের মাধ্যমে আমরা যে গত দুই মাস ট্রেনিংয়ের মধ্যে ছিলাম সেদিক থেকে আমাদের পারফরমেন্সটা কি পর্যায়ে সেটাও দেখে নিতে পারছি।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতিতে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজিত হওয়ায় এসএ গেমসকে ঘিরে বাড়তি প্রত্যাশা জাতীয় দলের শাটলারদের।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন দলের শাটলার জামিল আহমেদ দুলাল বলেন, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চলছে, আমরা প্রশিক্ষণের মধ্যেও রয়েছি আশা করছি গত সাফ গেমসের চেয়ে আমরা ভালো কিছু করব।
বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার পরও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন শাটলাররা। তবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে বড় সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ শাটলাররা।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন দলের শাটলার আহসান হাবিব পরশ বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী আমরা যদি বিদেশী কোচের কাছে প্রশিক্ষণ করতে পারি তাহলে অবশ্যয় আমরা ভালো কিছু করতে পারব।তিন মাস প্রাকটিসের পর এই টুর্নামেন্টেই বুঝা যাবে কার পারফরমেন্স কেমন।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন দলের মহিলা শাটলার শাপলা আক্তার বলেন, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলা আর প্রাকটিসের মধ্যে থাকলে আমাদের ভালো করা সম্ভব।
ঘরের মাঠে আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বাদশ এসএস গেমসে প্রত্যাশিত নৈপুণ্য দেখাতে পারবেন বলে মনে করছেন শাটলাররা।