যুক্তরাজ্যে আরও সংক্রমণযোগ্য নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আক্রান্ত দু’জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক।
বিবিসি জানিয়েছে, তারা দু’জনই সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ করেছিলেন। সাউথ আফ্রিকায় নতুন প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে সাউথ আফ্রিকার সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য।
ওই দু’জনের সাথে যারা ভ্রমণ করেছেন এবং যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হ্যানকক বলেছেন: আমরা সাউথ আফ্রিকার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, তারা খোলামেলা এবং স্বচ্ছতার সাথে নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ে যথাযথ পন্থায় যেভাবে কাজ করেছে, আমরা তার জন্য এখানে একটি নতুন রূপ আবিষ্কার করতে পেরেছি।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন দুটি প্রজাতির মধ্যে একটি যুক্তরাজ্য এবং অপরটি সাউথ আফ্রিকায় শনাক্ত করা হয় এ দুই প্রজাতির মধ্যে কিছু মিল রয়েছে তবে আলাদাভাবে বিকশিত হয়েছে।
অন্যদিকে নতুন ধরণের করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্শ্ববর্তী ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এ করোনাভাইরাস অন্যান্য ধরণের চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত সংক্রমণশীল। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাতে রয়েছে শিশুরাও।
তবে করোনাভাইরাসের এ নতুন ধরণ প্রতিরোধেও নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে দাবি করেছে মর্ডানা ও ফাইজার-বায়োএনটেক।
জার্মান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী বলেন, যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরণের করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও এ ভ্যাকসিন কার্যকর। বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হতে কাজ করা হচ্ছে।
অক্সফোর্ডের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনও নতুন ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। ভাইরাসের গতিবিধি পরিবর্তনের বিষয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এমন আতঙ্কের মধ্যেও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশন।