আপিল রায়ের ১৫ মাস পর শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে সকালে ওই রায়ের নথিতে স্বাক্ষর করেন আপিল বিভাগে রায় দেওয়া পাঁচজন বিচারপতি।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রিভিউ আবেদন করা হবে। বিধি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যেই এই রিভিউ আবেদন করতে হবে।
রায় প্রকাশের আগে থেকেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলে আসছেন, সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রিভিউ আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
সাঈদীর পরে রায় ঘোষণা হলেও ইতোমধ্যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের এবং মুজাহিদের মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও রিভিউ শেষে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। সে রায়ে তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণের আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটি অপরাধে অর্থাৎ ৮ ও ১০নং অভিযোগে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ সাঈদী ও সরকারপক্ষ পৃথক দুটি আপিল আবেদন করে।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে দণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আপিল মামলার সংক্ষিপ্ত ওই রায় দেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
ওই বেঞ্চের অন্য চার বিচারপতি ছিলেন; বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যায় সহযোগিতা, আট নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং একশ’ মতান্তরে একশ’ ৫০ জন হিন্দুকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করাসহ ২০টি অভিযোগ ছিলো ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে।