‘লিভিং ঈগল’ সাইফুল আজমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের অ্যাক্টিভিস্টরা।
ফেসবুকে তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ফিলিস্তিনের ইতিহাসবিদ ওসামা আল আশকার বলেন, আজম একজন দুর্দান্ত বিমানচালক ছিলেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভাইয়েরা আল-আকসা মসজিদ রক্ষা ও প্রতিরোধে আমাদের সহযোগী ছিলেন।
সেখানকার আরেক অধ্যাপক নাজি শৌকরিও টুইটারে সাইফুল আজমের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে লিখেছেন, সাইফুল আজম ফিলিস্তিনকে ভালোবেসেছিলেন এবং জেরুজালেমের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। তার প্রতি স্যালুট। আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করুন তিনি।
সুপরিচিত ফিলিস্তিন সাংবাদিক তামির আল-মিশাল তাকে ‘আকাশের ইগল’ বলে উল্লেখ করেন।
সাইফুল আজমকে ‘লিভিং ঈগল’ বলা হয়। ১৯৬৭ সালের ইরাক যুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধে একটি ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করেন এবং আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন।
রোববার সকালে ঢাকার মহাখালিতে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন।
১৯৪১ সালে পাবনা জেলার খগড়বাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাইফুল আজম। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পাশ করে ১৯৫৬ সালে উচ্চতর শিক্ষার্থে পশ্চিম পাকিস্তান যান। ১৯৬০ সালে জিডি পাইলট ব্রাঞ্চের একজন পাইলট হন তিনি।
১৯৭১ সালের পূর্বে তিনি পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন।
পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ৬ জুন তাকে ইরাকি বিমান বাহিনীতে বদলি করা হয়। বিমানঘাঁটি আক্রমণের সময় তিনি পশ্চিম ইরাকে ছিলেন।
সাইফুল আজম তার বর্ণাঢ্য জীবনে নিজেই কিংবদন্তির ইতিহাস রচনা করেছিলেন। পৃথিবীর ২০ জন “লিভিং ঈগলের” মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।