আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে সাংসদ বদি কেনো, প্রভাবশালী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে প্রমাণ ছাড়া একজন এমপিকে চট করে ধরা যায় না। যদি সে অপরাধী হয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিআরটিএ’র চলমান ভ্রাম্যমান আদালত পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশে এখন পর্যন্ত মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০ জনেরও বেশি ক্রসফায়ের ঘটনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: সরকার কোন ভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোন ভাবেই সমর্থন করে না। কাউকেই হত্যা করা হয়নি।
মাদক ব্যবসায়ীদদের সঙ্গে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোও যুক্ত। এদের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাই যখনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তারে যাচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য গুলি ছুড়ছে। এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষা করেছে মাত্র।
ওবায়দুল কাদের বলেন: প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশ, মাদক ব্যবসা বা ড্রাগ ডিলিংসের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তারা কেউ ছাড় পাবে না। যত প্রভাবশালীই হোক তাদের অবশ্যই এই মাদকবিরোধী অভিযানের আওতায় আনা হবে।
এসময় বিএনপির সমালোচলনা করে কাদের বলেন:বাংলাদেশের মানুষ এই অভিযানে খুশি শুধু গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বিএনপির। কারণ জনগণ খুশি কেন, সেটাই বিএনপির গায়ের জ্বালা।
বিআরটিএ’র কার্যক্রমে এসে দলীয় রজনৈতিক কর্মীদের সমালোচনা করেন কাদের। বলেন: মটর সাইকেলে দু’জনের বেশি উঠা নিষেধ থাকলেও রাজনীতিক কর্মীরা তিনজন নিয়ে বেশি মটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন। সাধারণ মানুষ আইনকে শ্রদ্ধা করলেও রাজনীতিকর্মীরাই আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে থাকে।
সকাল থেকে এই পর্যন্ত ৪৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ৭৫ হাজার পাচঁশত টাকা আদায় করা হয়েছে। প্রায় ৬১টি মটর সাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে।
গত ১মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ৩১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।