চ্যানেল নাইনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘নাইন ইনভেস্টিগেশন’ এর প্রতিবেদক মাহমুদ হোসাইনের ওপর হামলার মামলার আসামীদের সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারে দাবি জানিয়েছে ঢাকায় কর্মরত সাধারণ সংবাদকর্মীরা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সাংবাদিকরা বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ডিএমপি কমিশনার, আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর পদযাত্রা, স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মতো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, চ্যানেল নাইনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘নাইন ইনভেস্টিগেশন’ এর প্রতিবেদক মাহমুদ হোসাইনের ওপর রাতের অন্ধকারে হামলা হয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, হামলার ঘটনায় রাতেই মামলা হলেও চিহ্নিত অপরাধীদের কাওকে গত সপ্তাহেও খিলগাঁও থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। উপরন্তু সিএমপি কমিশনার মামলায় আত্মীয় আসামীর পক্ষাবলম্বন করে তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই সাংবাদিক মাহমুদ হোসাইনের উপর হামলায় জড়িত আসামীদের এক সপ্তাহের মধ্যে যদি গ্রেফতার করা না হয় তাহলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সকল সাধারণ সাংবাদিকদের সাথে কঠোর ও দুর্বার আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
গত ১১ জানুয়ারি রাত পৌনে ১০ টায় রামপুরার ই ব্লকের ৬ নম্বর রোডে এ চ্যানেল নাইনের অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘নাইন ইনভেস্টিগেশন’ এর প্রতিবেদক মাহমুদ হোসাইনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ওই রাতে চ্যানেল নাইনে অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘নাইন ইনভেস্টিগেশন’ এর প্রথম পর্বটি প্রচারিত হয়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রচার করায় দুর্বৃত্তরা হামলা করে বলে মনে করেন নির্যাতিত সাংবাদিক মাহমুদ।
তিনি বলেন, তুচ্ছ একটি ইস্যু তৈরি করে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ভাই মনির পরিচয়ে মারধর শুরু করে। পরে আরও কয়েকজন এসে পুলিশের উপস্থিতিতে কিল-ঘুষি মারে। এসময় রামপুরা বনশ্রীর কল্যাণ সমিতির সাবেক প্রচার সম্পাদক লেবুর পরিচয়ে আরও ২/৩জন হামলায় অংশ নেয়।
পরে পরিস্থিতি বুঝে তড়িৎ সেখানে বেড়িয়ে যাই রামপুরা থানায় আশ্রয় নিই। সেখান থেকে খিলগাঁও থানায় আসি। এ ব্যাপারে রামপুরা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা (নং-১৭) হয়েছে।