ভারতের তামিল নায়ক বিজয়ের চলচ্চিত্র নিয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে পোস্ট করায় তীব্র অনলাইন ট্রলিং বা হয়রানির শিকার হয়েছেন বেঙ্গালুরুর সাংবাদিক ধন্যা রাজেন্দ্রান।
তাকে গালি দিয়ে এবং চরম অপমান করে ৬৩ হাজারেরও বেশি টুইটবার্তা পোস্ট হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক যে টুইটারে সরাসরি হুমকি এবং মানসিক নির্যাতনের দায়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন এই সাংবাদিক।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং জনসম্মুখে নারীর কুরুচিপূর্ণ উপস্থাপন বিষয়ক আইনের অধীনে মামলাটি নিয়েছে পুলিশ।
গত শুক্রবার ধন্যা বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের নতুন ছবি ‘হোয়েন হ্যারি মেট সেজাল’ দেখার পর ছবিটি সম্পর্কে মন্তব্য করে একটি টুইটবার্তা পোস্ট করেন। বলেন, এই চলচ্চিত্রটি কয়েক বছর আগে মুক্তি পাওয়া বিজয়ের ‘সুরা’র চেয়েও খারাপ। কেননা ওই ছবিটি তিনি অন্তত বিরতি পর্যন্ত বসে দেখেছিলেন।
এরপর থেকেই তার টুইটে ভয়াবহ আক্রমণাত্মক কমেন্ট আসতে থাকে। শুধু তাই নয়, অশ্লীল এবং চরম আপত্তিকর ভাষায় গালি দিয়ে ধন্যার নামে টুইট কিছু লোকজন টুইট পোস্ট করতে থাকে। অনেকেই গুরুতর হুমকি দিতে থাকে তাকে টুইটের মাধ্যমে।
হিংসাত্মক এসব টুইটের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৬৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এমনকি ট্রলিংয়ের জন্য ধন্যার নামে অপমানজনক হ্যাশট্যাগও ব্যবহার হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, অনলাইনে হামলাকারীরা বিজয়ের হিংস্র অন্ধভক্ত বলে মনে করছে পুলিশ।
এক পর্যায়ে ধন্যা টুইট করে বলেন, ‘এই আক্রমণটা স্পষ্টভাবেই পরিকল্পিত। সন্ধ্যা ৬টার সময়ই ট্রলের একটা বিশাল ধাক্কা সবদিক দিয়ে বয়ে গেছে।’
সাংবাদিক ধন্যার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে চিহ্নিত চারজনের আসল পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই চারজন ছদ্মনাম ব্যবহার করে খোলা টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ধন্যাকে হুমকি দিয়েছে। আক্রমণকারী কয়েকজন তাদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেও দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিনেতা বিজয় এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, বিজয়ের বিরুদ্ধে এটি কোনো উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।