চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাংবাদিকের ফোনে জানলেন বিশ্বকাপে যাচ্ছেন মিঠুন

যেভাবে গত কয়েকসপ্তাহ ধরে তুমুল আলোচনা, চুলচেরা বিশ্লেষণ হয়েছে, তাতে বিশ্বকাপ দলের একটা প্রতিচ্ছবি মোটামুটি সবার মনেই আঁকা হয়ে গেছে! স্কোয়াডের দু-একজনকে নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মোহাম্মদ মিঠুন ইংল্যান্ডগামী বিমানে চাপবেন, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় ছিল না কারও। মিঠুন নিজেও জানতেন বড় রকমের অঘটন না ঘটলে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে তার। তারপরও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার একটা ব্যাপার তো থাকেই।

মঙ্গলবার দুপুরে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। ইমরুল কায়েস, তাসকিন আহমেদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা সে দলে জায়গা না পেলেও মিঠুনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। নির্বাচকদের সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত থেকে শোনার সুযোগ ছিল না মিঠুনের। দল ঘোষণার পর একজন সংবাদকর্মীর ফোনে তিনি প্রথম জানেন- ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন!

‘আমার সাথে কোনো নির্বাচকেরই কথা হয়নি। আপনারা যেভাবে জানেন, আমিও সেভাবে জানি। আপনাদের কারও ফোন থেকেই মনে হয় আমি প্রথম জানতে পারি যে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আছি। এরআগে কিছুই জানতাম না।’

এমন সুখবরে আবেগতাড়িত হলেও পেশাদার ক্রিকেটারের মতো সেটি সামলে নিয়েছেন মিঠুন, ‘এটি তো অবশ্যই অন্যরকম একটি অনুভূতি। অনুভূতি তো আর বলে প্রকাশ করা যায় না। সেটা ভেতরেই থাকে। তেমনকিছু আসলে কাজ করেনি সেভাবে। তেমন আলাদাভাবে কিছু মনেও হয়নি।’

মোস্তাফিজ, মোসাদ্দেক, মেহেদী মিরাজরা যেখানে অল্প বয়সেই পাচ্ছেন বিশ্বকাপের স্বাদ, সেখানে মিঠুন প্রথমবার বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেকের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে এই বয়সেই। কিন্তু হাল ছাড়েননি মিঠুন। অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন, বয়স যত পেরিয়েছে ততই হয়েছেন পরিণত। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ভরসা যোগাচ্ছেন বাংলাদেশের মিডলঅর্ডারের খুঁটি হওয়ার।

সুযোগটাকে তাই ছাড়তে চান না মিঠুন, ‘আমি সবসময় বলেছি যে আমার জীবনটা কখনোই সরল সোজা ছিল না। উত্থান-পতনের মধ্য দিয়েই আছে। গত কয়েকটি সিরিজ ভালো হয়েছে। চেষ্টা করবো যেন প্রত্যেকটি সিরিজে ভালো করতে পারি। এখন দেখা যাক সামনে কি হয়।’

বিশ্বকাপের আগে আছে আয়ারল্যান্ড সফর। লম্বা একটা সময় খেলার মধ্যেই থাকতে হবে টাইগারদের। আবার একাধিক ক্রিকেটার আছেন চোটসংক্রান্ত ঝুঁকিতে। লম্বা সময়ের কথা চিন্তা করে নিজেকে শতভাগ প্রস্তুত করে তবেই বিমানে উঠতে চান মিঠুন, ‘আসলে অন্যদের তুলনায় বেশি প্রস্তুত কিনা বলতে পারবো না, তবে আমি আমার নিজেরটা বলতে পারবো। চেষ্টা করছি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমার দিক থেকে শতভাগ প্রস্তুত হয়ে যেতে।’

‘ফিটনেস তো অবশ্যই একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আয়ারল্যান্ড সফর, এরপরে বিশ্বকাপ। অনেক লম্বা সময়। এই সময়ে ফিটনেস অনেক বড় একটি বিষয়। সবাই পেশাদার এবং সবাই নিজেদের কাজটি জানে যে কিভাবে ফিট থাকতে হবে। ইনজুরি তো বলে-কয়ে আসে না। এটা হঠাৎ করে চলে আসে। আমাদের দিক থেকে আমরা শতভাগ চেষ্টা করতে পারি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’

‘অবশ্যই দলের প্রয়োজন পূরণ করা আমার প্রথম লক্ষ্য। দল আমার কাছে কি চায় সেটা আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমি দলের সেরা পারফর্মার হতে পারি, এর থেকে ভালো কিছু তো হতে পারে না আমার জন্য। চেষ্টা করবো যে পজিশনে খেলব, সুযোগ পেলে সেরাটা দেয়ার।’