মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ না নিলে কাজে বাধ্য করা যাবে না বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু ওই বিবৃতিতে বলেন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বিস্তার ঘটায় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, ডিজিটাল নিউজ পেপার, বার্তা সংস্থার সাংবাদিক কর্মচারীদের কর্তব্য পালন হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে তিনজন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় গোটা গণমাধ্যম পরিবারে তীব্র উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে, অজানা আতঙ্ক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ কথাও কারো আজানা নয়, বেশিরভাগ গণমাধ্যমে বেতন-ভাতা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদি অনিয়মিত। স্বাস্থ্যঝুঁকির কোন ধরনের নিরাপত্তা নেই। নেই, পরিবহণ সুবিধাও। তারপরেও, পাঠক চাহিদা, প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা এবং রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ব হিসেবে পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে সংবাদ কর্মীরা কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে নতুন করে জরুরিভাবে চিন্তা করতে হবে।
বিবৃতিতে ডিইউজের দুই নেতা বলেন, যদি রাষ্ট্র ও গণমাধ্যমের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ, স্বাস্থ্যঝুঁকির নিরাপত্তা ও করোনা উপযোগি পরিবহণ সুবিধা দিতে না পারে, তাহলে কোনও অবস্থাতেই সাংবাদিকদের কাজে বাধ্য করাতে পারবে না।
একই সঙ্গে ডিইউজে’র নেতারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদ্যদের চিকিৎসা ব্যয় সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে বহনের দাবি জানিয়েছেন।
ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বিবৃতিতে আরও বলেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান চালু রাখা হলেও স্বগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিউজ শেয়ারিং করা ও কম গুরুত্বপূর্ণ এ্যাসাইনমেন্ট পরিহার করতে হবে।
তাছাড়া, ঝুঁকি কমিয়ে আনা ও অফিসের সহকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পথে-ঘাটে-মাঠে বাইরে নিউজ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকের জন্য সুরক্ষিত আলাদা নিভৃত বার্তাকক্ষের (আইসোলেশান নিউজরুম) ব্যবস্থা করতে হবে।
একইসঙ্গে, করোনা দুর্যোগের সময়ে হোটেল-রেস্টেুরেন্ট খোলা না থাকায় অফিসের অভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সকল সাংবাদিক ও কর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান নেতারা।