চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে সেনাপ্রধানের অভিষেক

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া কোরের ‘৮ম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর বগুড়া সেনানিবাসে আমার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের শহীদ লেফটেন্যান্ট বদিউজ্জামান প্যারেড গ্রাউন্ডে সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অভিষেক অনুষ্ঠানে সাঁজোয়া কোরের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাপ্রধানকে ‘কর্নেল র‌্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও বগুড়া এরিয়ার বিভিন্ন পদবীর সদস্যরা, সাঁজোয়া কোরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সাঁজোয়া ইউনিটসমূহের প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সেনাবাহিনী প্রধান অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া, পরিচালক, সাঁজোয়া পরিদপ্তর এবং কমান্ড্যান্ট, আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুল।

সাঁজোয়া কোরের সকল ইউনিটের সমন্বয় গঠিত একটি চৌকষ দল সেনাপ্রধানকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে অভিষেকের পর সেনাপ্রধান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

ঐতিহ্য অনুযায়ী এরপর সেনাবাহিনী প্রধান সাঁজোয়া কোরের সদস্যদের দরবার গ্রহণ করেন যাতে বগুড়া সেনানিবাসের উপস্থিত সাঁজোয়া কোরের অফিসার, জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য সকল পদবীর সদস্যরা ছাড়াও অনুষ্ঠান আগত সদস্যগণ অংশ নেন।

সেনাপ্রধান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সাঁজোয়া কোরের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘সাঁজোয়া চিরন্তর’ এ পুস্পস্তবক অর্পন করেন এবং আমার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কোয়ার গার্ড ও সাঁজোয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

অভিষেক অনুষ্ঠানের পর সেনাপ্রধান সাঁজোয়া কোরের ৪১তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি সম্মেলনে উপস্থিত সাঁজোয়া কোরের ইউনিটসমূহের অধিনায়কগণ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং মতবিনিময় করেন।

তিনি সাঁজোয়া কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় সাঁজোয়া কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সেসময় তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য সাঁজোয়া কোরের সকল সদস্যের প্রতি আহবান জানান।

সাঁজোয়া কোরকে বলা হয় ‘কিং অব দ্য বাটেল’ বা সমর সম্রাট’। যে কোনো যুদ্ধের জয় পরাজয় নির্ধারণে সাঁজোয়ার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মুখ সমরের অগ্রসেনা সাঁজোয়া কোরকে তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠতম কোর হিসেবে গণ্য করা হয়।

‘প্রাণ দেব মান নয়’, এই মূলমন্ত্র ধারণ করে সাঁজোয়া কোরের সদস্যগণ দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে অঙ্গীকারবদ্ধ। সেনাপ্রধানের সাঁজোয়া কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে এই কোরের সদস্যদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাঁজোয়া কোরের প্রতিটি সদস্যদের মাঝে আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।