বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রায় ও সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি সহিংস আন্দোলন না করায় সরকারি দল হতাশ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রোববার ঢাকা রিপোর্টস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন: আওয়ামী লীগ চেয়েছিল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করুক। আর গাড়ি ভাঙচুর করলেই এই সুযোগের আওয়ামী লীগ গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারতো আর দোষ চাপাতো বিএনপির ওপর। যেহেতু রায় ও সাজাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কোন সহিংস আন্দোলনে যায়নি, তাই সরকারি দল হতাশ। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকার অপছন্দ করে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন: আমরা সহিংস আন্দোলন করছি না বলে সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন রায় ও সাজা নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখছেন না। আমি তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ৭৫’র বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যার পর আপনাদের প্রতিক্রিয়া কোথায় ছিল। তখন সংসদে আপনাদের ৩০০ জন এমপি ছিল, আপনারা ছাড়া দেশে কোন রাজনৈতিক দলও ছিল না। তাহলে কেন দেশের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি।
খালেদা জিয়া সুবিচার পাননি মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন: সুবিচার হবে কিভাবে? এর আগে তারেক জিয়াকে একটি মামলায় একজন বিচারপতি খালাস দেওয়ায় তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতিকেও রোগী বানিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাহলে বিচারপতিরা কিভাবে সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিবে।
যত আঘাত করা হচ্ছে বিএনপির তত জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন: যত আঘাত করা হচ্ছে তাতে তত বেশি আমাদের গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া খালেদা জিয়াকে জেলে দেওয়ায় তার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক রহমানের পরামর্শে বিএনপি কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন: আমরা খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শে কাজ করে যাচ্ছি। নেতাকর্মীদের বলব আপনারা সতর্ক থাকবেন। আবেগের বশবর্তী হয়েও কোন ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না।
ড্যাবের সহ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন ড্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।