কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর সরকারের প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, ‘যারা সহিংসতায় জড়িত ছিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
কোটা নিয়ে সরকার অনড় অবস্থানে নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দাবির যৌক্তিকতা আমরা ইতিবাচকভাবে দেখব।
তিনি বলেন, ‘বৈঠক শুরুর তিন মিনিট আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলে দিয়েছেন, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ ব্যাপারে একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।’
কাদের বলেন, ‘আমরা রাজনীতি শুধু পরবর্তী নির্বাচনের জন্য করি না, রাজনীতি করি পরবর্তী প্রজন্মের জন্যও। তাদের সুবিধা-অসুবিধা, চোখের ভাষা ও মনের ভাষা আমরা বুঝার চেষ্টা করি।’
‘যারা আন্দোলন করছেন, তারা তরুণ সমাজের প্রতিনিধি। তারা আমাদের তরুণ সমাজ, আমাদের রাজনীতিরও অপরিহার্য অংশ। তাদের প্রতি সরকারের বিশেষ দুর্বলতা আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনো দাবি যৌক্তিক হলে আগ্রাহ্য করেন না। সেই ইতিবাচক মনোভাব থেকে আমাকে পাঠিয়েছেন কিছু মেসেজ (বার্তা) দিয়ে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’
চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা।
রোববার পাঁচ দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাজধানীর শাহবাগে পূর্ব ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
রাতভর সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের তাণ্ডব।
এরপর সোমবার তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।