আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের তৃতীয় দিনে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার চাইলো জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি(জাগপা) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এছাড়া জাগপা ১৪ দফা এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৩ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে কমিশনকে।
বুধবার সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বিকেলে জাগপা আগারগাঁও’র নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
সংলাপ শেষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচণ ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে, দেশের গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থ হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে সর্বতভাবে ভূমিকা পালন করতে কবে।
বিকেলের সংলাপ শেষে জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীকে তিন মাসের অবকাশকালীন ছুটিতে পাঠানো, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ভোটের ৩০ দিন আগে সেনা মোতায়েন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সমতুল্য সেনাবাহিনীর প্লাটুন অনুযায়ী একজনকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান, ইভিএম চালু না করা, গণমাধ্যমের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারসহ ১৪ দফা প্রস্তাবনা ইসিতে তুলে ধরেছি আমরা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম এ শরিক দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আরও জানান, সংলাপের আগে তারা বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বিএনপির পরামর্শেই তারা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের রূপরেখা কমিশনের কাছে তুলে ধরেছেন।
এর আগে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ প্রতিদিন সংলাপ শেষে তার সার-সংক্ষেপ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরলেও আজ তিনি আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করেননি।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে কমিশন। নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচটি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে তারা। ঈদুল আযহার ছুটির পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর আবার সংলাপ শুরু করবে কমিশন।