তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত মানুষের প্রাণ। নীল আকাশে শরতের সাদা মেঘ আর শুভ্র কাশফুল প্রশান্তি নিয়ে এলেও সূর্য যেন ঢেলে দিচ্ছে তার সব উত্তাপ। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কেউই রেহাই পাচ্ছে না সেই উত্তাপ থেকে।
বাংলাদেশে মূলত ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎকাল। আর বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। শরৎকালে আবহাওয়া ঠাণ্ডা হতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষপটে তার সেই চিরায়ত চরিত্র আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই সময়েও প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শরৎকাল প্রবন্ধে এই ঋতুর সৌন্দর্য বর্ণনা করেছেন এভাবে ‘‘আবার শরৎকাল আসিয়াছে। এই শরৎকালের মধ্যে আমি একটি নিবিড় গভীরতা, একটি নির্মল নিরতিশয় আনন্দ অনুভব করি। এই প্রথম বর্ষা অপগমে প্রভাতের প্রকৃতি কী অনুপম প্রসন্ন মূর্তি ধারণ করে।’’
কিন্তু সেই সৌন্দর্য এখন কোথায়? আবহাওয়া অফিস বলছে, চিরাচরিত শরতের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া খুঁজে পেতে আরও অন্তত মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলামন চ্যানেল আই অনলাইন-কে বলেন: পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই এমন গরম আবহাওয়া থাকবে। সেই সাথে থাকবে হালকা বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি থাকলেও গরমের অস্বস্তি থেকেই যাবে। কারণ বৃষ্টির পর মেঘ কেটে গেলেও বাতাসে প্রায় পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় তীব্র গরমের প্রবণতা থেকেই যাবে।
গরমের এই অস্বস্তিতে প্রকৃত তাপমাত্রা যা তার থেকে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হবে বলে উল্লেখ করেন এ অবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। সারাদেশের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে ।
আজ সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।