সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। বিশেষ এই দিনটি উপলক্ষে সকালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে সম্মান জানিয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং এরপর শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
প্রধানমন্ত্রীও পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারী শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকষ দল এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে।
শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানিয়ে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানরা নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নিজামউদ্দিন আহমদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের(এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি এএফডি পৌঁছলে এএফডি’র ডাইরেক্টরস জেনারেলগণ এবং পিএসও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এইদিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমস্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এরপর এ বাহিনী দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে এবং এতে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত হয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই ঐতিহাসিক দিনটিকে প্রতি বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।
৮০ দশকের মাঝামাঝি থেকে ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়। এর আগে ২৫ মার্চ সেনা, ১০ ডিসেম্বর নৌ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী পৃথক দিবস পালন করত।