ভারতের আকাশে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়েছে, এমন খবর আসা মাত্রই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের ৮টি বিমানবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি।
একইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয়েছে দিল্লির উত্তর আকাশে সমস্ত রকমের বিমান চলাচল। পাশাপাশি নৌ এবং বিমানসেনা প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে নর্থ ব্লকে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
জানা গেছে, ইসলামাবাদসহ দেশের পাঁচটি বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে পাকিস্তানও।
অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাকিস্তানের আকাশে বিমান চলাচল হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।
সকালেই ভারতের কাছে খবর আসে আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ছে ভারতের আকাশে। ভারত যে এই বিমান হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল, তার প্রমাণ মিলেছে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায়।
সেই খবর পাওয়া মাত্র বিজ্ঞান ভবনে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীনই বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তরপর্ব চলছিল তখন। তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে একটি চিরকুট আসা মাত্রই হাত নেড়ে বেরিয়ে যান মোদী।
এরপরই নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দেন মোদী। বিজ্ঞান ভবনের অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোরও।
এর আগে নিজের বাড়িতেও একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল, বিমানসেনা প্রধানসহ দেশের অন্যান্য বাহিনীর কর্তাব্যক্তিরা।
প্রতিরক্ষায় যে নয়াদিল্লি কোনও কমতি রাখতে রাজি নয়, তার প্রমাণ মেলে এরপরই। বিমান হামলার খবর পাওয়া মাত্র জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের সমস্ত বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি।
এর মধ্যে আছে শ্রীনগর, লে এবং জম্মু, চন্ডীগড় এবং অমৃতসর বিমানবন্দর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও এই এলাকার বিমানবন্দরে না নামিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় দেশের অন্যান্য নিরাপদ বিমানবন্দর দিয়ে।
একের পর এক বেসরকারি বিমানসংস্থাও বিমান বাতিলের খবর জানিয়ে দেয় যাত্রীদের। জানা গেছে, শ্রীনগর, লে, জম্মু, চন্ডীগড়, অমৃতসর, দেরাদুন বিমানবন্দর আপাতত তিন মাস বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে লাহোর, মূলতান, ফয়সলাবাদ, শিয়ালকোট এবং ইসলামাবাদ বিমানবন্দরেও সমস্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান।
ইতোমধ্যে চীনে গিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুলওয়ামা হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি বুঝিয়ে তিনি কূটনৈতিক সাফল্য পেয়েছেন বলে ভারতীয় মিডিয়ায় জানানো হয়।