চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সর্ষের মধ্যে ক্রমেই ভূত ঢুকছে?

১৯৯১ সালের গণভোট আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণ কার্য পরিচালনা এবং ভোটকেন্দ্রের শৃংখলা বজায় রাখতে প্রিজাইডিং অফিসারের কর্তব্য পালনে সহায়তা করা প্রত্যেক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারের কর্তব্য।

পোলিং অফিসাররা প্রার্থীর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করলেও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা তা নন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে ভোটগ্রহণের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত।

কিন্তু রোববার পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে এমন এক খবর দেখতে হলো, যা কখনও দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে না। টাঙ্গাইলের বাসাইলে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ দু’জন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়: রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসাইল দক্ষিণপাড়া কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পারভীন সুলতানা আবার সাধারণ কেউ নন। তিনি উপজেলার সৈদামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে যাদের আমরা শ্রদ্ধা করে থাকি, তাদের কাছে এমন কর্মকাণ্ড কখনোই সাধারণ মানুষ আশা করে না। এক্ষেত্রে নিজের অবস্থান এবং নৈতিকতা সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি বলে আমরা মনে করি।

তবে এখানে আশার বিষয় হচ্ছে- অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। জাল ভোট দেওয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এরকম জিরো টলারেন্স ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা মনে করি।

উপজেলা নির্বাচনের শুরু থেকেই বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট অংশগ্রহণ না করায় এমনিতেই উত্তাপহীন। ভোটাররাও ভোট দিতে কেন্দ্রে আসছেন না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ। এর মধ্যেও যদি স্বয়ং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা জাল ভোটের সঙ্গে জড়িয়ে যান, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত বলেই বিবেচিত হবে। এ অচলায়তন থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানাচ্ছি।