গাজীপুরে দুটি জঙ্গি আস্তানায় নিহত জেএমবি প্রধান আকাশসহ ৯ জঙ্গির নাম পরিচয় জানতে তাদের ডিএনএ নমুনাসহ ভিসেরা সংরক্ষণ করবে পুলিশ। সর্বশেষ জঙ্গিটি গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
গাজীপুর শহরের পাতারটেকের যে বাসায় আস্তানা গেড়েছিলো জঙ্গিরা, বিশেষ বাহিনী সোয়াটের অভিযানের পর সেখানে পড়ে থাকা জঙ্গি নেতা আকাশসহ ৭ জনের লাশ সুরৎহাল করে লাশগুলো গাজীপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে ময়না তদন্তের সময় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্যে গাজীপুরের সিভিল সার্জনের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুরে দুটি আস্তানায় পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে জঙ্গি নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে জয়দেবপুর থানায়। মামলায় নিহত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলাও সোয়াট সদস্যকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এডিশনাল আইজি মো: মোখলেসুর রহমান বলেন, যতক্ষণ না এদের সর্বশেষ জঙ্গিটি ধরা পড়বে ততক্ষণ আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করবো। সব অবিযান দৃশ্যমান হয় না। সফল অভিযান দৃশ্যমান হয়। যেভাবে জঙ্গি তৎপরতার উত্থান হয়েছিলো, যে পরিমাণে তারা অগ্রসর হচ্ছিলো বলে জনগণের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। পৃথিবীর যে কোনো দেশে জঙ্গি তৎপরতার এই ধরনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য অনেক বেশি।
জঙ্গি তৎপরতা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে দাবি পুলিশের। মো: মোখলেসুর রহমান আরো জানান, যারা মাস্টারমাইন্ড তারা অনেকেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত যাদের ধরতে সক্ষম হইনি তারাও অচিরেই ধরা পড়বে। আমরা তাদের পেছনে লেগে আছি। আমরা সফল হয়েছি, ভবিষ্যতেও সফল হবো।
টাঙ্গাইলে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত দুই জঙ্গির লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রাজধানীর কাছে বাইপাইলে পুলিশের জঙ্গি বিরোধী অভিযানে ডাকাতি করে সংগ্রহ করা জেএমবির নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ জঙ্গি গ্রেফতার এবং র্যাবের অভিযানে একজন নিহতের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমানের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। জঙ্গিদের লাশগুলো সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করা হবে জানিয়েছে পুলিশ।