সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে চায় আওয়ামী লীগ । এলক্ষ্যে সরকার ও দল আলাদা করার পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকরা । তারা বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করতে সেন্টারভিত্তিক কমিটি করতে হবে।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের আগে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তবে কাউন্সিলরদের জোরদাবিতে প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকলেও যারা মন্ত্রিসভায় রয়েছেন তাদের অনেককেই সাংগঠনিক দায়িত্বে রাখা হয়নি।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষণা করা না হলেও দলীয় পদে নেই আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়ামের বাইরে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের একজনও মন্ত্রিসভায় নেই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, যারা সরকারে থাকবে তারা দলে কোনো বড় পদে থাকবে না। আর যারা দলের বড় পদে থাকবে তারা সরকার পরিচালনায় থাকবে না। নতুন কমিটি কিছু লক্ষ্যে নিয়ে কাজ শুরু করছে। আশা করছি আগামী কয়েক বছরে সেই লক্ষ্যগুলো অর্জন হবে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দলের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা সদস্যরা তার সম্পূর্ণ সময় দলকে দিবে। মন্ত্রীদের দেশের জন্য অনেক কাজ করতে হয়। তাই যতটা সম্ভব মন্ত্রীদের কম দলে রাখা হচ্ছে।
নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা । বিএনপি জামায়াতের ধংসাত্বক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করবে নতুন কমিটি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই বিএনপি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকায় অবস্থায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারিনি। এই বাংলাদেশে সেসময় খাদ্য ঘাটতি ছিলো। সে অবস্থায় আজকে বাংলাদেশ থেকে মঙ্গা ও দুর্ভিক্ষ শব্দটি উঠে গেছে। এই কথাগুলোই মানুষের কাছে বলতে হবে। তাই এ কাজের জন্য দল একটি বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
ফারুক খান বলেন, সাংগঠিক কার্যক্রম হাতে নেয়ার জন্য সেন্ট্রাল কমিটি গঠন করতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটকেন্দ্রে কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা, ভোটার লিস্ট আবার পুনরায় দেখা, প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের দেশের উন্নয়নের সম্পর্কে বোঝানো হবে।
একটি জিনিস মনে রাখা ভালো, প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছেন আপনারাও আসেন আগামী নির্বাচনের জন প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন।
আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ এ নীতিনির্ধাকরা বলেছে, নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে আরও সক্রিয় করে সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করা হবে।