চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সরকার ও দলের স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে আওয়ামী লীগ

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোনো আন্দোলনের ইস্যু ২০ দলীয় জোটের হাতে তুলে দেবে না সরকার। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে সরকার ও দল সতর্ক অবস্থানে আছে।

তারা বলছেন, বিএনপি নেত্রী তার ভুল বুঝতে পেরে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে ফিরে এসেছেন। তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরও বেগম খালেদা জিয়া আর আন্দোলনে ফিরে যাবেন না বলে তারা মনে করছেন। পাশাপাশি তিনি যেনো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ইস্যু পেয়ে না যান, সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সতর্ক আছে।

তবে সংলাপ বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাফ কথা: ২০১৯ সালের আগে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। তাই এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নও অবান্তর।

তিন মাসের আন্দোলনে খালেদা জিয়ার ‘ব্যর্থতা’ আওয়ামী লীগকে মানসিক এবং নৈতিকভাবে ভাবে এগিয়ে রাখছে মনে করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা আশা করছেন, বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণেও মানুষ সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দেবেন না। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তিনটিতেই মেয়র পদে জয় পাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। এজন্য প্রার্থী পছন্দ হোক বা না হোক; আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে যাতে কোনোভাবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট কোনো ধরণের আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে না পায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, দলের সমর্থন পাওয়া; প্রার্থীকে জয়ী করতে সব ধরণের চেষ্টা করা হবে। তবে দল এবং সরকারের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রেও কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এমনকি নির্বাচনে কেউ যাতে বিশৃংখলা করতে না পারে সে ব্যাপারেও সংগঠনের পক্ষ থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। এসবই করা হবে খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের ইস্যু হাতে না তুলে দেওয়ার জন্য। তা হলে কি সরকার আরো একটি আন্দোলনের আশংকা করছে?

আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি-নির্ধারক এবং বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি তিনমাসের বেীি সময় আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা-বিশৃখলা করার চেষ্টা করেছে, জঙ্গি তৎপরতা এবং নাশকতা সৃষ্টি করে দেশের যে ক্ষতি করেছে; সেটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা উপলব্ধি করছে।

তিনি মনে করেন, সরকার নির্বাচন দেওয়ায় বিএনপি তাদের ব্যর্থ আন্দোলন থেকে একটা ‘এক্সিট পয়েন্ট’ পেয়েছে। খালেদা জিয়া এখন নির্বাচনের মাঠে আছেন উল্লেখ করে চ্যানেল আই অনলাইনকে তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যে ভুল করেছিলেন, সেই ভুল তিনি আর করবেন না। আন্দোলনেও আর যাবেন না।

তবে বিএনপির প্রধান যে দাবি সংলাপ এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন তা নাকচ করে দিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, এখন সংলাপেরও কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন। সে পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে অপেক্ষা করতে হবে।