ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে ৯ দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাসপাতালের রোগীরা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী থেকে শুরু করে আ্উটডোর ও রোগীর সাথে আসা লোকজন সমস্যায় পড়েছে। পানির অভাবে হাসপাতালে দুর্গন্ধ আর গুমোট ভাব তৈরি হয়েছে।
সরেজমিনে স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের ১০ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে পানি সরবরাহের পাম্পটি বিকল হয়ে যায়। এতে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় পুরো হাসপাতাল জুড়ে। ঘটনার ৯দিন অতিবাহিত হলেও বিকল পাম্পটি চালু করতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগী, আবাসিক ডাক্তার, নার্সসহ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেট ও গোসলখানা ব্যবহার করতে পারছে না রোগীরা। ডায়রিয়া রোগীদের জামা-কাপড় অন্য জায়গা থেকে পরিষ্কার করে আনতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় ভর্তি গরীব রোগীরাও চিকিৎসা নিতে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতাল এখন প্রায় রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার নিকলা দড়িপাড়া গ্রামের কল্পনা বেগম বলেন, তিনদিন হয়ে গেল মাকে টাইফয়েড জ¦রের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টয়লেটে পানি না থাকায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। গরীব মানুষ অন্য কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব না। হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা অন্যত্র চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ মান্দিয়া গ্রামের ফারুক মিয়া বলেন, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু পানি নেই হাসপাতালে। এতে দুর্গন্ধের কারণে অসুখ আরো বেড়ে গেছে।
হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা জানান, পানি সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। হাসপাতালজুড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে গেছে। রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জুনিয়র মেকানিক খোরশেদ আলম বলেন, হঠাৎ করে পাইপে আয়রন জমে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহীউদ্দিন আহম্মেদ জানান, হঠাৎ করেই পাম্পটির ত্রুটি দেখা দেয়ায় বন্ধ আছে পানি সরবরাহ। জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে অবহিত করার পর সহকারি প্রকৌশলী পাম্প দেখে গেছেন। আশা করছি অতিদ্রুত পাম্পটি মেরামত করে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।