প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: সরকারি শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের যে সব বাসা বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়, সেগুলো অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু বরাদ্দকৃত বাসায় না থাকলে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে সরকারি বরাদ্দ আছে তা তারা পাবেন না।
এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে অনুমোদিত বিভিন্ন প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।
সভায় ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাসা সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন।
আসাদুল ইসলাম বলেন, সরকারি কোয়ার্টার বা বাসা যেগুলো সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বানানো হয়েছে কিন্তু দেখা গেছে, সেগুলোতে তারা থাকেন না। কারণ সরকারি বেতন বৃদ্ধির ফলে এখন যে হাউজ রেন্ট (বাড়ি ভাড়া) পাওয়া যায়, সেটার চেয়ে কম পয়সায় বাইরে বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। এই জন্য বাসাগুলো তৈরি থাকে কিন্তু অব্যবহৃত থাকে এবং নষ্ট হয়।
তাই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যাদের নামে বাসা বরাদ্দ হবে বিশেষ করে নির্ধারিত বাসা সেগুলোতে তাদেরকে থাকতেই হবে। যদি তারা (সরকারি শিক্ষক, কর্মকর্তা/কর্মচারী) না থাকেন তবে বাড়ি ভাড়া বাবদ যে ভাতা পান, তা পাবেন না। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনা বিভাগের এই সিনিয়র সচিব আরও জানান, বাড়ি ভাড়ার ‘রেট সিডিউল’ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্বশাসিত হলেও তাদের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যত্রতত্র বিল্ডিং করতে না পারে।
পাশাপাশি প্রকল্প বাস্তবায়নে মান নিশ্চিতের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।