খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে বাংলাদেশ যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে তার পেছনে রয়েছে দেশের কৃষকের কঠোর পরিশ্রম। এমন মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি প্রচেষ্টার সঙ্গে কৃষকের ঘামেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেছেন, ২০৩০ সালের পর বাংলাদেশে দারিদ্র্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশে প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে জমির পরিমাণ কমে যাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে খাদ্য ঘাটতির দুঃসময় থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ক্ষুধা নির্মূলে ১শ’৫টি দেশের মধ্যে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২। এ বছর আরো এগিয়ে উঠেছে সাতাশে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী এমডিজি পূরণের ক্ষেত্রে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় সব চেয়ে সফল দেশ বাংলাদেশ।
খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় দেশকে আরো এগিয়ে নেয়ার আশা সরকারের। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এমনি এমনি আলাদীনের চেরাগ দিয়ে এমন হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়, আমাদের বিজ্ঞানীবৃন্দ আর সবচেয়ে বড় কাজটি করেছে কৃষকের ঘাম। সেকথা যেন আমরা ভুলে না যায়। সবকিছু মিলেই আজ আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি।
কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সকলের সহযোগিতা আশা করেন কৃষিমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৩০ এর অনেক আগেই আমরা এই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলবো। আপনারা দূরবীন দিয়েও কোনো দরিদ্র মানুষ পাবেন না এবং ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছে এমন মানুষ পাবেন না। সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে খামার বাড়ি চত্বরে মেলায় কৃষিখাতের নতুন নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন তুলে ধরা হয়।