টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ আনিসুর রহমান মিলন। তবে তার অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যাও কম নয়। কাজ করেছেন দুই ডজনের বেশি সিনেমায়।
প্রচলিত অর্থে সিনেমার নায়ক না হলেও দর্শকের কাছে ‘একজন ভালো অভিনেতা’র খেতাব বরাবরই অর্জন করে চলেছেন তিনি।
পোড়ামন, দ্য লাস্ট ঠাকুর, অনেক সাধের ময়না, রাজনীতি সহ বেশকিছু ছবিতে চরিত্রাভিনেতা আনিসুর রহমান মিলনকেই দেখেছে দর্শক। এই অভিনেতার কাছেও ‘স্টারডম’ এর চেয়ে ‘চরিত্রাভিনেতা’ পরিচয়ই স্বস্তিদায়ক।
সম্প্রতি আনিসুর রহমান মিলন এসেছিলেন চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন ‘তিনশো সেকেন্ড’ এ। সেহাঙ্গল বিপ্লবের পরিচালনা ও শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় আনিসুর রহমান মিলন তার চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারের নানান দিক নিয়ে কথা বলেন।
সুঅভিনেতা হিসেবে খ্যাতি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আনিসুর রহমান মিলনকে ‘তারকা’ হিসেবে না পাওয়ার কারণ কী? জয়ের এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলন বলেন, ‘সুঅভিনেতা পরিচয়টাই এনাফ। এরচেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নাই।’
তিনি বলেন, আপনি কতোটা ভালো অভিনয় করতে পারছেন, সেটা দর্শক বুঝতে পারলেই হলো। স্টারডমের বিষয়টা যেভাবে আমরা নির্ণয় করি, সেটা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। সুতরাং অভিনেতা হিসেবে নিজের দক্ষতা প্রমাণই বড় কথা।
চলচ্চিত্রে মিলন কি অভিনয়ের সেই দক্ষতার ছাপ রাখার সুযোগ পেয়েছেন? এক কথায় মিলন জানান, ‘না। সেই সুযোগ তিনি এখনও পাননি।’ তবে আশাবাদী মিলন। বললেন, ‘সময় ফুরিয়ে যায়নি।’
সোনালী অতীত ফেলে এসেছে বাংলা চলচ্চিত্র। সেসময় অভিনেতা, অভিনেত্রীদের মূল্যায়ন ছিলো। এখন কি সেটা আছে? এমন প্রশ্নে মিলন বলেন, ‘আমার ক্ষেত্রে যদি বলি, তাহলে বলবো সেই মূল্যায়নের জায়গাটা আমি এখনও পাইনি।’
আনিসুর রহমান মিলনের হাতে যে ৫ সিনেমা রয়েছে, তার একটি ‘বরফ কলের গল্প’। এরইমধ্যে এই ছবিটির ফার্স্ট লুক নজর কেড়েছে দর্শক মহলে।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবিটির গল্প শোনা যাচ্ছে কুখ্যাত খুনী এরশাদ শিকদারের জীবন কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত। যদিও এ বিষয়ে অফিশিয়াল কিছুই জানাননি মিলন কিংবা নির্মাতা সহিদ উন নবী।
‘বরফ কলের গল্প’র মূল চরিত্র নওশাদ নিয়ে এরআগে চ্যানেল আই অনলাইনকে আনিসুর রহমান মিলন জানিয়েছিলেন, ‘গত ২১ বছরে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। চরিত্রটি পাওয়ার পর মনে হয়েছে আমি এখানে কিছু করতে পারবো।’