ভারতের বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদের ভিতরে ধারণ করা ভিডিও চিত্রকে চ্যালেঞ্জ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদন খারিজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।
এর আগে মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে হিন্দুত্ববাদী পক্ষ এবং উত্তর প্রদেশ সরকারকে একটি নোটিশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
লিখিত প্রতিক্রিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ভারতে ইসলামী শাসনের অনেক আগে থেকেই সম্পত্তিটি ভগবান আদি বিশ্বেশ্বরের ছিল। এটি আওরঙ্গজেব জোরপূর্বক দখল করেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করবে এবং বারাণসীর দেওয়ানী আদালতকে বিষয়টি গ্রহণ না করা পর্যন্ত তার নিজস্ব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে। বারাণসী আদালতে এখন ২৩ মে এই বিষয়ে শুনানি হবে।
১৪, ১৫ এবং ১৬ মে জ্ঞানভাপি মসজিদের অভ্যন্তরে চিত্রগ্রহণের প্রতিবেদনও গতকাল বারাণসী আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল।
হিন্দু পক্ষ লিখিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘আওরঙ্গজেব একটি সার্বভৌম ক্ষমতায় মন্দিরটি ভেঙে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন। জমিটি কোনও মুসলিম, মুসলিম সংস্থা বা ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্গত নয়। একটি মসজিদ শুধুমাত্র ওয়াকফ সম্পত্তির উপর নির্মিত হতে পারে। এক্ষেত্রে আওরঙ্গজেব কোনো ওয়াকফ তৈরি করেননি। তাই কথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ একটি কাঠামো মাত্র এবং একে মসজিদ হিসেবে গণ্য করা যায় না।’
প্রশ্নবিদ্ধ সম্পত্তিটির মধ্যে এর আগে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করা হতো বলে দাবি করে তারা।
১৭ মে উচ্চ আদালত বারাণসীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জ্ঞানভাপি-শ্রীঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সের ভিতরে এমন একটি অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল যেখানে চিত্রগ্রহণের সময় একটি ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে এবং মুসলমানদের ‘নামাজ’ পড়ার অনুমতি দিয়েছে।
আগের বছর ১৮ এপ্রিল বারাণসীর সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন) মসজিদের চিত্রগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। জ্ঞানভাপি মসজিদ কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে বলে দাবি করা পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি করছে বারাণসী আদালত।
প্রাচীন মন্দিরের পুনরুদ্ধারের মূল মামলাটি ১৯৯১ সালে বারাণসী জেলা আদালতে দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে বর্তমানে জ্ঞানভাপি মসজিদ রয়েছে।