হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সম্পত্তির জন্য বাবাকে গলাকেটে হত্যার পর তার মাথা নদীতে আর জঙ্গলে দেহ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে।
অপরাধ ঢাকতে ঘটনার পর নিজেই এসে ওই ছেলে থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।
পুলিশ বলছে, সম্পত্তির জন্য কাউসার আহমেদ তার বাবা হাজী উমর আলীকে (৬৫) গলা কেটে হত্যার পর মাথা নদীতে আর দেহ ফেলে দেয় জঙ্গলে। পরে অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করে নিখোঁজের সংবাদ জানায় সে নিজেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, নিখোঁজের ব্যাপারে সন্দেহ হলে নিহতের ভাই মো. নায়েব আলীও আদালতে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ভাবি, ভাতিজা, ভাতিজিসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এর পর সাধারণ ডায়েরি আর মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যার লোমহর্ষক সব তথ্য।
ওই হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত মনির আহমেদ নামে একজনকে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, নিহত হাজী উমর আলী দুটি বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রী ও সন্তানরা এমন লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার পর প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা পলাতক রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম।