ভূ-মধ্যসাগরে ৬শ’ত ১৭ জনের পর ইন্দোনেশিয় উপকূলে ৭শ’র বেশি বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অভিবাসী উদ্ধার হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূল থেকে ২শ’ত ৪৫ অভিবাসীকে উদ্ধার করে ইতালিয় বর্ডার পুলিশ। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১৫শ’তর বেশি অভিবাসী উদ্ধার হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরের দিকে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে ডুবতে বসা একটি নৌকা থেকে ৭ শ’র বেশি বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। যাদের মধ্যে ৩৯৫ জনই বাংলাদেশী। পরে তাদের আচেহ প্রদেশের লাংসা বন্দরে কাছের একটি ওয়্যার হাউজে নেয়া হয়েছে।
এর আগে ব্রিটিশ নৌ সেনারা ভূমধ্যসাগর থেকে ৬ শ’র বেশি আফ্রিকান অভিবাসীকে উদ্ধার করে। সাগরে অভিযানের মধ্যেও পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য চলছেই।
কয়েকদিন ধরে সাগরে ভাসছিলো বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা শরনার্থী বোঝাই নৌকাটি। মালয়েশীয় নৌবাহিনীর ধাওয়া দিলে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় ঢুকে পড়ে নৌকাটি।
হঠাৎ নৌকাটি ডুবতে শুরু করলে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। আচেহ’র পূর্ব উপকূলে লাংসা বন্দরে শরণার্থীদের নিয়ে আসে তারা।
বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই আরেকটি নৌকা ইন্দোনেশিয়ার জলসীমার কোথাও রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ভূমধ্যসাগরে বৃহস্পতিবার ৬শ’১৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এইচ এম এস বুলওয়ার্ক। বুধবার ও বৃহস্পতিবার সাড়ে ৩ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে জার্মান, ইতালীয় এবং ব্রিটিশ নৌবাহিনী।
উদ্ধার অভিবাসীদের বেশির ভাগই সোমালিয়া ও নাইজেরিয়ার অধিবাসী। এদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছেন, যুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতই তাদের দেশত্যাগের কারণ।
এর আগে, বৃহস্পতিবার লিবীয় উপকূল থেকে ২শ’৪৫ জন অভিবাসীকে নৌবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে ল্যাম্পেডুসা বন্দরে নিয়ে আসে ইতালীয় বর্ডার পুলিশ। সেখানকার অভিবাসী আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা না হওয়ায় তাদের ইতালির অন্য বন্দরে নেয়া হচ্ছে।