প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষের সেবা, নারী শিক্ষার প্রসারে রণদা প্রসাদ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সমাজের বিত্তশালীরা যেন এভাবেই মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন’।
বৃহস্পতিবার ভারতেশ্বরী হোমসে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক ও কুমুদিনীর ৮৬তম জন্মবাষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কুমুদিনীর ট্রাস্টের সার্বিক কাজে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখানে প্রথম আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫৬ সালে আমি যখন ছোট্ট ছিলাম, বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সাথে এই সুন্দর জায়গাটায় এসে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণের কল্যানে কুমুদিনীর ট্রাস্টের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে এমন দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার কথা বলেন।
এ বছর ‘রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক’ ২০১৯-এ ভূষিত হয়েছেন দেশের চার বরেণ্য ব্যক্তি। এই চার বরেণ্য ব্যক্তিরা হলেন- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে (মরণোত্তর) ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী তাদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ২০১৫ সাল থেকে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ‘রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক’ চালু করেছে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেড। এর আগে এই পদক পেয়েছেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, স্যার ফজলে হাসান আবেদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, শাইখ সিরাজসহ কয়েকজন কৃতি ব্যক্তিত্ব।
প্রধানমন্ত্রী রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক স্বর্ণপদক প্রদানের পর কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড বিএসসি নার্সিং কলেজসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের সেবাধর্মী বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করবেন।