দুপুরের পর মেঘের চাদর ভেদ করে উঁকি দিল সূর্য। তাতে খানিকসময়ের জন্য আলোকিত হল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। মিষ্টি রোদে মূল উইকেটের পাশে জুটি বেঁধে বোলিং করতে থাকলেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় শুরু হওয়ার অপেক্ষায় থাকা উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে শুরুতে হাল ধরতে হতে পারে এ দুই পেসারকেই।
সিলেটে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ছিলেন না রুবেল। মিরপুরে বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াইয়ে ডানহাতি এ পেসারের ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। ম্যাচের সময় মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে পেস বোলাররাই কার্যকরী হবেন, ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে গেলেন সৌম্য সরকার।
‘এমন আবহাওয়ায় পেস বোলাররা কার্যকরী হয়। আমাদের সেভাবেই পরিকল্পনা করতে হবে। শুরুর কিছু ওভার দেখতে হবে, কেমন হয়। খেলাটা টি-টুয়েন্টি, সে হিসেব করেই খেলতে হবে। তবে ওইটা(আবহাওয়া) বেশি ভাবলে হবে না। আজ আমাদের অনুশীলন প্রায় একইরকম আবহাওয়ায়। সেটার সঙ্গে তাল মেলাতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কালকের জন্য।’
সিলেটেও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় খেলেছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটি দিনের আলোতে হওয়ায় শিশিরের প্রভাব ছিল না। মিরপুরের ম্যাচ হবে ফ্লাডলাইটের নিচে। ‘ডিউ ফ্যাক্টর’ নিয়ে তাই ভাবতে হচ্ছে দু’দলকেই।
ট্রেবল জয়ের হাতছানি নিয়ে সিলেটে শুরু হওয়া টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেয়েছে বড়সড় ধাক্কা। দ্বিতীয় ম্যাচটি পর্যবসিত হয়েছে স্বাগতিকদের টিকে থাকার লড়াইয়ে।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে দারুণ সাফল্য স্বপ্ন দেখায় নতুন ইতিহাসের। প্রতিপক্ষ দলকে প্রথমবার তিন সংস্করণেই নাস্তানাবুদ করার সুযোগ এখনও আছে। সৌম্য আশাবাদী ভুল শুধরে শেষ দুটি ম্যাচ জয়ে রাঙাবে বাংলাদেশ।
‘প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে আছি আমরা। চেষ্টা করব দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টুয়েন্টি সিরিজেও প্রথম ম্যাচ হেরেছিলাম। পরের দুই ম্যাচে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতেছিলাম। এখানে প্রথম ম্যাচে যে ভুলগুলো করেছিলাম, যেমন শুরুতে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলা, তা যদি পরের ম্যাচে না হয় তাহলে আমরা ভালো করবো।’