চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সব ফুটওভার ব্রিজে এস্কেলেটর লাগানো হবে: মেয়র আতিকুল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে এস্কেলেটর লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন: ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের অনীহা থেকেই ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীতে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হতে দেখা যায় অনেককেই। সড়কে ঝরে যাওয়া প্রাণে একটা বড় অংশ যোগ হয় এখান থেকেই। এ অবস্থার ইতি টানতে এবং জনসাধারণকে ব্যবহারে উৎসাহী করতে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর টাউন হল শহীদ পার্ক মাঠে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ককে আরও বেশি নিরাপদ করার লক্ষ্যে সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন: আজ সময় এসেছে ট্রাফিক আইনকে শ্রদ্ধা করার। সকলকে এটা মেনে চলতে হবে। দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে আমরা কিছু পদক্ষেপ এরমধ্যে গ্রহণ করেছি। অচিরেই প্রত্যেকটা জেব্রা ক্রসিং এ পুশ লাইট লাগানো হবে। আপনাদের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে জন্য কাজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি সে অনুযায়ী কাজ করছি। প্রতিটি ফুটওভার ব্রিজে আমরা এস্কেলেটর লাগিয়ে দিবো। কিন্তু এসব ব্যবহার করা আপনাদের দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায় করতে হলে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের গত দু’মেয়াদের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন: একটা সময় আমাদের দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। সেই ঘাটতি পূরণ কার হাত ধরে হয়েছে? আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাই বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করেছেন। আমি এখন দেশের যে প্রান্তেই যাই, সেখানেই শেখ হাসিনা ম্যাজিকের কথা শুনতে পাই। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ এখন বিশ্বাস করে একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন বাংলাদেশকে বদলে দিতে।

তিনি বলেন: ২০০৮ সালে তিনি (শেখ হাসিনা) কমিটমেন্ট করেছিলেন বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এ রূপান্তর করবেন। তার সেই কমিটমেন্টের পর রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনেককেই এটা নিয়ে হাস্যরস করতে দেখা গেছে। কিন্তু তিনি এসব পাত্তা না দিয়ে তার স্বপ্নের পথে হেঁটেছেন। এবং সেই স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে তিনি আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

শেখ হাসিনার আহ্বানে দেশের মানুষের আস্থার প্রতিফলন তুলে ধরে তিনি বলেন: শেখ হাসিনা বলেছিলেন বাংলাদেশকে তিনি জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করবেন। তিনি সেটা করে দেখিয়েছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে জনগণ তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বলেই।

মাদকের বিরুদ্ধেও শেখ হাসিনার ডাকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামাল বলেন: তিনি আজ ডাক দিয়েছেন মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। আমরা যদি তার হাতকে শক্তিশালী না করতে পারি, বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত না করতে পারি; তাহলে আমাদের জাতির পিতার সোনার বাংলা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো না। 

তিনি বলেন: আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাবো জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, ঠিক সেইভাবেই মাদকমুক্ত করতে আমাদের সহযোগিতা করুন। তাহলেই আমরা সফল হতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।

ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপির সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।